গোঘাটের ত্রাণশিবিরে খাবার পরিবেশন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সারি দিয়ে বসে আছেন বন্যাদুর্গতেরা। সামনে তাঁদের শালপাতার থালা। সেই থালাতেই বালতি থেকে খিচুড়ি পরিবেশন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু খিচুড়ি নয়, বন্যাদুর্গতদের জন্য আরও কিছু খাবারের পদের ব্যবস্থাও ছিল। সেই সব পদও নিজের হাতে পরিবেশন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এ ভাবে কাছে পেয়ে আপ্লুত অনেকে। কেউ কেউ আবার নিজেদের পরিস্থিতির কথাও মুখ্যমন্ত্রীকে জানান।
নিম্নচাপের বৃষ্টি, ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবিত বহু এলাকা। বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও হুগলির বিভিন্ন এলাকা জলের তলায়। প্লাবন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার আরামবাগে যান মমতা। কলকাতা থেকে সড়কপথে তিনি পৌঁছোন। সেখানে গোঘাটের এক ত্রাণশিবিরে নিজের হাতে দুর্গতদের খাবার পরিবেশন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ত্রাণশিবির থেকে মমতা যাবেন কামারপুকুরে। তার পরে প্লাবন পরিস্থিতি পরিদর্শনে অন্য জায়গায় যাওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর।
গত বছর বন্যা পরিস্থিতির সময় মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগ হয়ে ঘাটালে গিয়েছিলেন। এ বছরও বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরামবাগ-সহ হুগলির বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পথে গোঘাটের ত্রাণশিবির ঘুরে যান তিনি।
আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদীর জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যেই আরামবাগের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০-১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বৃষ্টির জলে। খানাকুলের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০-২২টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। আরামবাগ, খানাকুল ছাড়াও পুরশুড়ার ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ও মাঠঘাট জলমগ্ন। গোঘাটের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে নতুন করে। তার উপর নদীগুলিতে হুহু করে বাড়ছে জলস্তর।