করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক ব্যবহারের সঙ্গে তিনটি বিষয় জড়িত। কখন, কী ভাবে এবং কী ধরনের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
নাক ও মুখ দিয়েই মূলত করোনাভাইরাস আমাদের শরীরে ঢোকে। মাস্ক ব্যবহার করা হয় নাক-মুখ সুরক্ষিত রাখতে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, অনেকে মাস্ক পরলেও তা যথাস্থানে নেই। গলার কাছে ঝুলিয়ে রাখার মতো উদাসীনতা দেখা যায়।
কী ভাবে মাস্ক পরতে-খুলতে বা সংরক্ষণ করতে হয়, তা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ১) এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা নাক এবং মুখ পুরোপুরি ঢেকে রাখতে পারে। নাকের উপরিভাগ থেকে চিবুকের নিচ পর্যন্ত ঢাকা থাকতে হবে। ২) এমন মাস্ক পরতে হবে, তাতে যেন নাকের উপরিভাগে চেপে বসার জন্য ক্লিপ বা তার থাকে। ৩) মাস্ক পরার আগে ও পরে সাবান বা অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড-স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ৪) মাস্ক পরার সময় প্রথমে নাকের উপরে ক্লিপটি চেপে বসিয়ে নিতে হবে। লুপ বা ফিতে দু’টি ধরে কানে পরতে বা ফিতে মাথার পিছনে বেঁধে নিতে হবে। ৫) মাস্কের সামনে হাত দেওয়া যাবে না। অল্প সময় ব্যবহারের পরে মাস্ক ঠিক করতে হাত দিয়ে ফেললে তৎক্ষণাৎ সাবান বা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত সাফ করতে হবে। ৬) ঠিকঠাক ভাবে মুখমণ্ডলে বসানোর জন্য মাস্কফিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। ৮) মাস্ক যেন নাক-মুখ, চিবুক এবং মুখমণ্ডলের দু’পাশে ঠিক ভাবে আটকে থাকে। ৯) এমন ভাবে মাস্ক পরতে হবে, যাতে তার মধ্যে দিয়ে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া চলে, তার ফাঁক দিয়ে নয়।মাস্ক খোলা এবং পুনর্ব্যবহারের জন্য তা সংরক্ষণেরও নিয়ম আছে। ১) খোলার সময় লুপ দু’টি ধরে কান থেকে আস্তে করে খুলে নিতে হবে। সামনের অংশে হাত দেওয়া যাবে না। ২) খোলার পরে বাইরের দিকে সেটিকে ভাঁজ করতে হবে।৩) নষ্ট বা পুরনো মাস্ক মুখবন্ধ ডাস্টবিন বা ওয়েস্ট পেপার বক্সে ফেলতে হবে। তার পরেই হাত পরিষ্কার করতে হবে সাবান বা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাপড়ের মাস্ক ভাল ভাবে সাবান এবং ব্লিচিং পাউডার দিয়ে সাফ করে পরিষ্কার পেপার বক্সে রাখতে হবে।