Hooghly

‘ডাল শেষ’! অনেক ক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পর এ কথা জানতেই ভাঙচুর কচুরির দোকানে

হুগলি ঘাট স্টেশন এলাকায় একটি কচুরির দোকানে ধুন্ধুমার হয়। ক্রেতা এবং মালিক দু’পক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:২৩
Share:

কচুরির জন্য মারামারি, ঝামেলা গড়াল থানা পর্যন্ত। প্রতীকী চিত্র।

অনেক ক্ষণ অপেক্ষার পরেও কচুরির সঙ্গে মেলেনি ডাল। এ নিয়ে প্রথমে বচসা, তার পর হাতাহাতি। তার পর শুরু হয় ভাঙচুর। খদ্দেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে ছুটলেন হুগলি ঘাট স্টেশন এলাকার কচুরির দোকানের মালিক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ হুগলি ঘাট স্টেশনে শতাব্দী প্রাচীন একটি মিষ্টির দোকানে কচুরি কিনতে যান স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। সেই সময় ছিল একটি পুজো কমিটির শোভাযাত্রা। তাদের তরফে ওই দোকানে ১৬০টি কচুরির বরাত দেওয়া হয়। এর ফলে অন্য ক্রেতারা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই লাইনে ছিলেন এক মাংস বিক্রেতা। তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কিন্তু তাঁর কচুরি কেনার সময় দোকানের এক কর্মচারী জানান, ডাল শেষ হয়ে গিয়েছে। তা হলে এত ক্ষণ অপেক্ষা করালেন কেন তাঁকে? এ নিয়ে ওই কর্মচারীর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, এর পর মিষ্টির দোকানের ভিতর চড়াও হন ওই ব্যক্তি। দোকানমালিক তপন দাসকে মারধর করে দোকানের শোকেসও তিনি ভেঙে দেন বলে অভিযোগ।

এ নিয়ে মিষ্টির দোকানের মালিক ছোটেন থানায়। তাঁর অভিযোগ, খদ্দেরকে কচুরির জন্য অপেক্ষা করতে বলায় তাঁদের মারধর করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশকে ফোন করে ঘটনার কথা জানাই। ওদের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজও দেখিয়েছি।’’ অন্য দিকে, কাচের শোকেস ভাঙতে গিয়ে ওই অভিযুক্তের হাত কেটে গিয়েছে। তাঁর হাতে ১৩টি সেলাই পড়েছে। তবে মারধর এবং ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর দাবি, বচসার সময় ধাক্কাধাক্কিতে তিনি শোকেসে উপর পড়ে যান। ওই সময় উপস্থিত অন্য ক্রেতারা আবার মিষ্টির দোকানের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ করেছেন বলে খবর। তাঁদের অভিযোগ, ওই দোকানের কর্মচারীদের ব্যবহার নাকি অত্যন্ত খারাপ। পাল্টা দোকান মালিকের দাবি, কয়েক জন হিংসে করে তাঁর দোকানের নাম খারাপ করতে চাইছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন