Relief Camp

Durga Puja 2021: ক্রেতারা ত্রাণ শিবিরে, পুজোর বাজার করবে কে!

এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে শহরের বস্ত্র বিপণিগুলোতে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ বিক্রি কমে গিয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ, উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৪১
Share:

ঘোড়াদহ গ্রামের বন্যা দুর্গতদের ধান্যগোড়ি হাইস্কুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

যেটুকু আশা ছিল, সেটাও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।

Advertisement

টানা বৃষ্টির জেরে বানভাসি হয়েছে হুগলির আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, পুরশুড়া, গ্রামীণ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লক। এখনও ছন্দে ফেরেনি এই এলাকা। বাসিন্দাদের অধিকাংশই ঠাঁই নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে। ফলে পুজোর আগের রবিবারে বিকিকিনির চিহ্নমাত্রও নেই এলাকায়। ব্যবসায় ক্ষতির জন্য আফশোস করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এরই সঙ্গে তাঁদের স্বীকারোক্তি, ‘‘আগে তো মানুষ বাঁচবে। তারপর তো পোশাক।
জল ঠেলে কে আর জামাকাপড় কিনতে আসবে!’’

সপ্তাহ দেড়েক আগে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল আরামবাগের পুজোর বাজার। কিন্তু এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে শহরের বস্ত্র বিপণিগুলোতে প্রায় ২০-৩০ শতাংশ বিক্রি কমে গিয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। শক্তিসাধন গুপ্ত, হিমনাথ কুণ্ডু প্রমুখ ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘‘করোনা ভীতি এবং লকডাউন পরিস্থিতি কাটিয়ে সবে মানুষ পুজোর কেনাকাটা শুরু করেছিলেন। বন্যা বিপর্যয়ে ফের বাজার দমে গেল।” প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা জানিয়ে একটি সরকারি বস্ত্র বিপণির আধিকারিক স্বপন শীল বলেন, “সকাল থেকে মাত্র এক হাজার টাকার কেনাকাটা হয়েছে। আর কোনও খদ্দের আসেননি।’’ খারাপ অবস্থা মহকুমার অন্য বাজারগুলিরও। খানাকুলের দুই ব্লকের বড় বাজার— রাজহাটি, বালিপুর, গোঘাটের কামারপুকুর, বদনগঞ্জ, পুরশুড়ার সোদপর, খুশিগঞ্জ একেবারেই সুনসান বলে আফশোস ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

রাস্তায় খাওয়া দাওয়া করছেন বন্যা দুর্গতেরা। আরামবাগের পল্লিশ্রী এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

পুজোর বাজার চৌপাট হয়ে গিয়েছে বন্যাদুর্গত উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকেও। উদয়নারায়ণপুরের ১১টির মধ্যে ৯টি পঞ্চায়েতই বানভাসি। এই এলাকার দোকান-বাজার সবই জলের নীচে। বাসিন্দারাও আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে। ফলে দোকান যেমন নেই, খদ্দেরও কেউ নেই। আমতা-২ ব্লকের চারটি পঞ্চায়েত পুরোপুরি, দু’টি পঞ্চায়েত আংশিক প্লাবিত হয়েছে। ফলে পুজোর বাজার করার থেকেও এই সব এলাকার বাসি‌ন্দা এবং দোকানিরা ব্যস্ত প্রাণ বাঁচাতে। উদয়‌নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘পুজোর আগে আমাদের এলাকার অর্থনীতিতে এটা একটা বড় আঘাত।’’ একই দাবি আমতার বিধায়ক সুকান্ত পালেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন