SIR

এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ! বিএলও-র কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হল কোন্নগরের সেই অসুস্থ প্রৌঢ়াকে

কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলওর দায়িত্ব পালন করছিলেন তপতী। তিনি কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৯
Share:

কোন্নগরে অসুস্থ বিএলও তপতী বিশ্বাস। —নিজস্ব চিত্র।

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হুগলির কোন্নগরের বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও) তপতী বিশ্বাস। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান, প্রৌঢ়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অর্থাৎ, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর। প্রৌঢ়ার স্বামী প্রবীর বিশ্বাস জানান, অসুস্থ তপতীকে বিএলওর কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএলওর দায়িত্ব পালন করছিলেন তপতী। তিনি কোন্নগর নবগ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর, তপতীর বয়স ৬০ বছরের কাছাকাছি। সেরিব্রাল অ্যাটাকের কারণে তাঁর বাঁ দিক ‘অবশ’ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসক (এসডিও) শম্ভুদীপ সরকার তাঁকে দেখতে যান। পরে তিনি জানান, তপতী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব রকম সাহায্য করা হবে। উত্তরপাড়া থানার পুলিশও হাসপাতালে ওই প্রৌঢ়ার সঙ্গে দেখা করে এসেছে। তপতীর স্বামী জানান, তপতীর শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল। পরিবারের আর এক সদস্য সমীরণ বিশ্বাস জানান, এমআরআই রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ কতটা হয়েছে! তবে অভিযোগ, এখনও সরকারি ভাবে তাঁর চিকিৎসার খরচ মেলেনি। পরিবারই সেই খরচ বহন করছে।

প্রবীরের দাবি, এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করা, তা জমা নেওয়া, তার তথ্য অ্যাপে আপলোড করার কাজের চাপ তপতী নিতে পারছিলেন না। নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন গত কয়েক দিনে। ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফর্মের তথ্য আপলোড করা যাচ্ছিল না। চিন্তায় রাতে ঘুমোতে পারছিলেন না তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, ফর্ম জমা নেওয়ার জন্য ঘন ঘন ফোন আসছিল। তপতী পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়়েন তাঁর স্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement