Potato

কংসাবতীর জলে বিঘার পর বিঘা আলুর জমি জলের তলায়! গোঘাটে মাথায় হাত কৃষকদের

সত্যচরণ মালিক নামে এক জমিমালিকের কথায়, ‘‘রবিবার রাত থেকে ক্যানেল উপচে জল ঢুকতে থাকে। কিন্তু জল যে ছাড়া হবে, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও খবর ছিল না। প্রশাসন থেকে মাইকিংও হয়নি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:২২
Share:

গোঘাটে বিঘার পর বিঘা আলুচাষের জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রাণপন চেষ্টা হচ্ছে সেই জল বার করার। —নিজস্ব চিত্র।

কংসাবতীর জলে ডুবে রয়েছে বিঘার পর বিঘা আলু চাষের জমি। হুগলির গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের শেওড়া, কুমোরশা বালি অঞ্চলের জমির পর জমির দশা এমনই। মাথায় হাত কৃষকদের।

Advertisement

রবিবার রাত থেকে কংসাবতীর ক্যানেলের জল ঢুকতে শুরু করে গোঘাটে। হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায় ক্ষেতে। ফসল বাঁচাতে পাম্পের সাহায্যে জমি থেকে জল বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকরা। যদিও তাতে ক্ষতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।

সত্যচরণ মালিক নামে এক আলুর জমিমালিকের কথায়, ‘‘রবিবার রাত থেকে ক্যানেল উপচে জল ঢুকতে থাকে। কিন্তু জল যে ছাড়া হবে, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও খবর ছিল না। প্রশাসন থেকে মাইকিংও হয়নি।’’ “ক্ষোভের সুরে সত্যচরণ বলেন, ‘‘আগে ধান চাষের সময় জলের প্রয়োজন ছিল। তখন আমাদের জল কিনতে হয়েছে। এখন আলুর জমি ডুবে গেল। জানি না কী হবে!’’ সত্যচরণের মতো অন্যান্য জমিমালিক এবং কৃষক জানাচ্ছেন, এ বার আলু চাষে খরচ হয়েছে বিস্তর। অনেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। এখন এই জলের জন্য প্রচুর ফসল নষ্ট হবে।

Advertisement

এ নিয়ে হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কংসাবতী আর ডিভিসি থেকে কুড়ি হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা ছিল। কংসাবতীর জল দ্বারকেশ্বর নদী দিয়ে ঢোকে। গত বছরের নভেম্বর মাসে জল ছাড়া নিয়ে মিটিং হয়। সেই আলোচনায় ঠিক হয়, জল ছাড়ার আগে সবাইকে জানাতে হবে। সেটা কেন হল না, তা জানতে হবে।’’

হুগলি জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা প্রিয়লাল মৃধা বলেন, ‘‘এ বছর এমনিতেই জলের সমস্যা আছে। বোরো চাষে জল পাওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। যদি আলুর জমি ডুবে গিয়ে থাকে, তবে স্থানীয় ব্লক কৃষি দফতরে যোগাযোগ করতে পারেন কৃষকরা। ফসল নষ্ট হলে তার জন্য শস্য বিমার ব্যবস্থা আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন