(বাঁ দিকে) আক্রান্ত যুবক। (ডান দিকে) অভিযুক্ত। —নিজস্ব চিত্র।
সামান্য বচসা থেকে হাতাহাতি। সেখান থেকে চপার বার করে দুই যুবককে কোপ মেরে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যান এলাকারই আর এক বাসিন্দা। ওই ঘটনার পরে সাত দিন কেটে গেলেও পুলিশ পদক্ষেপ করেনি। কারণ, অভিযুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। এমনই অভিযোগে হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানার ঘুসুরিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
উত্তর হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুরি এইচআইটি পার্ক এলাকায় গত সপ্তাহে একটি পুজো উপলক্ষে ভোগ বিতরণ হচ্ছিল। সেখানে জ্যোতির্ময় পাল নামে এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে বচসা বাধে কয়েক জনের। অভিযোগ, সেই সময়ে রাহুল সিংহ ও আকাশ সরকার নামে দুই যুবককে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপান জ্যোতির্ময়। দু’জনে গুরুতর জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা। অন্য দিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। আহতদের পরিবারের অভিযোগ, এক সপ্তাহ কেটে গেলেও ওই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। গ্রেফতার হননি অভিযুক্ত। রাহুলের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘‘ওই যুবক এলাকায় দাদাগিরি করত। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। কেন এখনও কোনও ব্যবস্থা নিল না পুলিশ-প্রশাসন?’’
এর মধ্যে অভিযুক্তের সঙ্গে শাসক-যোগের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের একাংশে দাবি, জ্যোতির্ময় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের ‘ঘনিষ্ঠ।’ তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে পুলিশের তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি মান্না। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। আইন আইনের পথে চলব।কে কার ঘনিষ্ঠ সেটা দেখে পদক্ষেপ করে না পুলিশ।’’ অন্য দিকে, অভিযুক্তের মা স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ছেলে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের সময়ে ও তৃণমূলের হয়ে কাজ করে। ও অপরাধ করেছে কি না, জানা নেই। কিন্তু ওকে আগে থেকে উত্যক্ত করা হত।’’
পুলিশ জানিয়েছে, একটা মারামারির ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ হবে। সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।