Student death in Contai

‘সাঁতার জানত, ডুবল কী করে? সিসি ফুটেজ কোথায়?’ হাওড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যুতে রহস্য, রুজু খুনের মামলা

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ। সোমবার ভিডিওগ্রাফি করে ময়নাতদন্ত হয় মৃতদেহের। মৃতের পরিবারের লোকজন ফের অভিযোগ করেন, মৃত কপিল কুমার সাঁতার জানতেন। তাই কোনও ভাবেই জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হতে পারে না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ২১:০৩
Share:

কপিল কুমার। ছবি: সংগৃহীত।

বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার পুলিশ। সোমবার ভিডিওগ্রাফি করে ময়নাতদন্ত হয় মৃতদেহের। মৃতের পরিবারের লোকজন ফের অভিযোগ করেন, মৃত কপিল কুমার সাঁতার জানতেন। তাই কোনও ভাবেই জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হতে পারে না। এটা খুনের ঘটনা হতে পারে। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন।

Advertisement

হিমাচল প্রদেশের যুবক কপিল (২১) মাস দেড়েক আগে সাঁকরাইলের বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছ’মাসের কোর্সের জন্য ভর্তি হন। খরচ হয় ৮ লক্ষ টাকা। গত শনিবার রাখি বন্ধনের দিনে কলেজের মধ্যে ডাইভিং পুলে তাঁকে ভেসে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁকে একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই ঘটনার তদন্তে নামে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। তারা কলেজে গিয়ে আধিকারিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কলেজ চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। কপিলের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়।

রবিবার মৃতের বাড়ির লোকজন হাসপাতালে যান। তাঁরা মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁদের অভিযোগ, যে হেতু কপিল সাঁতার জানতেন, তাই জলে ডুবে মৃত্যু হতে পারে না। তাঁদের আরও অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও সিসিটিভি ফুটেজ দেখাচ্ছেন না। এমনকি, ওই ডাইভিং পুলের আশপাশে ঘটনার সময় কী ঘটেছিল, তার ফুটেজ দেখতে চাইলে, তা-ও দেখানো হয়নি। কলেজের কর্মীরা তাঁদের বলেছেন, বেশির ভাগ সিসিটিভি কাজ করে না। এমনকি, ওই ছাত্রের ঘরে যাওয়ার অথবা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতেই তাঁদের সন্দেহ, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর নেপথ্যে খুনের চক্রান্ত থাকতে পারে।

Advertisement

এ বিষয়ে কলেজের প্রশাসনিক অধিকর্তা অনিন্দিতা চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে ফোন ‘সুইচ্‌ড অফ’ পাওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement