জলমগ্ন রাস্তায় চলছে ঝুঁকির পারাপার। —নিজস্ব চিত্র।
নিম্নচাপ সরে গিয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির ‘প্রমাণ’ এখনও রয়েছে রাস্তায়। দিনের পর দিন সেই জলবন্দি পথ পার হতে গিয়ে নাজেহাল হাওড়ার লিলুয়ার ভট্টনগরের বাসিন্দারা। দিনের পর দিন দুর্ঘটনা লেগেই আছে। অভিযোগ পুরসভাকে জানিয়েও কাজ হয়নি। শেষমেশ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলেন স্থানীয়েরা। তাতে যানজট বাড়ল আরও। দুর্ভোগ এলাকায়।
ভট্টনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টি থেমে গেলেও এখনও তাঁদের এলাকার রাস্তা জলমগ্ন। এক বার নয়, একাধিক বার পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই অবরোধ শুরু করেছেন তাঁরা। রবিবার বালি পুরসভা থেকে কর্মীরা এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অকুস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়েন।
বস্তুত, গত সপ্তাহে লিলুয়ার একাধিক জায়গার জলযন্ত্রণার জন্য রাস্তা অবরোধ হয়। জল জমে থাকা রাস্তায় বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন এক আরোহী। জখম হন তাঁর শিশুসন্তানও। বাইক থেকে ছিটকে পড়েছিলেন দু’জনেই। সেই ঘটনার পরে বিক্ষোভে নড়েচড়ে বসেছিল বালি পুরসভা। শুরু হয়েছিল কাজ। কিন্তু এখনও সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন রাস্তায়। রবিবার ভট্টনগর এলাকায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন স্থানীয়েরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে যেতে হয়।
বালির বিধায়ক তথা বালি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রানা চট্টোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করবেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘এখানে দীর্ঘ ২ কিলোমিটার যে মহানালা রয়েছে, সেটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার হয়নি। এখন সংস্কারের কাজ শুরু করেছে কেএমডিএ। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে বালি, বেলুড় ও লিলুয়ার ৭৬টি রাস্তা সংস্কারের কাজে অনুমোদন মিলেছে। সময় কিছুটা লাগলেও সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’