TMC

দুই নেতানেত্রীকে ‘বহিষ্কার’, ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সিঙ্গুরে

পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি ঘোষ এবং উপপ্রধান চন্দ্রনাথ দাস সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৫:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রচুর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরেও সিঙ্গুরে ফের শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মেঘ ঘন হচ্ছে। বিধানসভা ভোটে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে এখানকার বাগডাঙা-ছিনামোড় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে দল থেকে ‘বহিষ্কার’ করলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারা।

Advertisement

ওই পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি ঘোষ এবং উপপ্রধান চন্দ্রনাথ দাস সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্নার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি। যদিও তাঁদের বহিষ্কার সংক্রান্ত কোনও সুপারিশ তাঁর কাছে আসেনি বলে দাবি হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের। তিনি বলেন, ‘‘দলের রীতিনীতি আর বিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থেকেই কিন্তু আমরা যাঁরা জেলা, ব্লক ও টাউন সভাপতির দায়িত্বে আছি, তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কাউকে দলে নেওয়া বা বহিষ্কারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। রাজ্য কমিটির কাছে সুপারিশ করতে পারি মাত্র। তার বেশি কোনও দায়িত্ব দল আমাদের দেয়নি। সিঙ্গুরের ক্ষেত্রেও আলাদা কোনও নিয়ম দল তৈরি করবে না।’’

গত রবিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুরে এক দলীয় বৈঠকের পরই বাগডাঙা-ছিনামোড় পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধানকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোবিন্দ। তাঁর দাবি, ‘‘ওঁরা বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী প্রচার করেন। বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রচার করেন। এ অভিযোগ কর্মীদের দলীয় থেকেই পাওয়া গিয়েছে।’’

Advertisement

অভিযোগ মানেননি অঞ্জলিদেবী। তিনি বলেন, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার আর উপপ্রধানের বিরুদ্ধেই বেচারাম মান্নার গোষ্ঠী প্রার্থী দিয়েছিল। আর আমরা নাকি দলবিরোধী! যাঁরা দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল, তাঁরাই এখন সিঙ্গুরে বড় তৃণমূল নেতা? হাস্যকর সব ব্যাপার!’’

এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্নার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটস্‌অ্যাপেরও উত্তর দেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement