Kanchan Mullick

Kanchan Mullick: আগুপিছু না দেখে টিকা নেওয়া কেন, নাম না করে মিমিকেই কি বললেন কাঞ্চন?

ভুয়ো টিকা-কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। প্রশ্ন উঠছে, কেন আগে থেকে খোঁজ নেননি তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২১ ১৫:৩৭
Share:

ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে ঘুরিয়ে মিমির সমালোচনাই কি করলেন কাঞ্চন, উঠছে প্রশ্ন।

নিজে সাংসদ। অথচ টিকা নেওয়ার বিধিনিয়ম জানেন না! কসবা ভুয়ো টিকা-কাণ্ড সামনে আসার পর থেকে লাগাতার এই প্রশ্নেই বিদ্ধ হচ্ছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এ বার তাঁর সতীর্থ তথা উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধের উপর জোর দিলেন। তাঁর মতে, সচেতন নাগরিক হিসেবে বিধিনিয়ম মেনে তবেই টিকা নেওয়া উচিত।

Advertisement

শনিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়েছিলেন কাঞ্চন। সেখানেই ভুয়ো টিকা-কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। কাঞ্চন বলেন, ‘‘যে ভাবে জাল টিকা দেওয়া হয়েছে, সেটা অন্যায়। একেবারেই সমীচীন নয়। টিকা নিতে গেলে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তার জন্য আধার কার্ড লাগে। তার পর টিকা হয়। ফোনে মেসেজ আসে। সচেতন মানুষ হিসেবে সেই বিধিগুলো মানতে হবে।’’

কসবায় ভুয়ো টিকা-কাণ্ডের উদ্‌ঘাটন করেন মিমি নিজেই। তিনি জানান, দেবাঞ্জন দেবের শিবির থেকে টিকা নিলেও শংসাপত্র পাননি। নিজের আপ্ত সহায়ককে পাঠিয়েও লাভ হয়নি। শিবিরের আয়োজকরা সদুত্তর না দেওয়ায় কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু সরকারি টিকাকেন্দ্র না গিয়ে, সাংসদ কেন কসবার ওই ভুয়ো টিকার শিবিরে গেলেন, কেন আগে খোঁজ নিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই আবহে বিধিনিয়ম নিয়ে দায়িত্ববোধের প্রসঙ্গ তুললেন কাঞ্চন। মিমির অসুস্থতার খবর তাঁর কাছে পৌঁছেছে তবে ভুয়ো টিকা নেওয়ার কারণেই তিনি অসুস্থ কি না, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন কাঞ্চন।

Advertisement

উত্তরপাড়াতেই তিনি টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাঞ্চন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি এখান থেকে টিকা নিয়েছি। এ জন্য আধার কার্ডের তথ্য দিতে হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর মেসেজ এসেছে আমার কাছে। সব কিছুর একটা নিয়ম আছে। তা মেনেই এগনো উচিত।’’

কিন্তু মিমি চক্রবর্তীর মতো সাংসদ যেখানে দেবাঞ্জন দেবের জালে পা দিয়েছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের পক্ষে কী ভাবে জাল টিকা যাচাই করা সম্ভব? জবাবে কাঞ্চন বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, পুরসভা, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো সরকারি জায়গা থেকে টিকা নেওয়া বাঞ্চনীয়। যেখান থেকেই নিন, সচিত্র নথিভুক্তিকরণ হওয়া দরকার। তা হলে আস্থা থাকবে।’’

ভুয়ো টিকা-কাণ্ডে সাংসদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনায়, এমনিতেই অস্বস্তি ছড়িয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। আইএএস অফিসার সেজে তাঁদের ছায়াসঙ্গী হিসেবে ঘুরে বেড়ানো দেবাঞ্জনের সঠিক পরিচয় যাচাই করলেন না কেন তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রীরা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। যদিও কাঞ্চনের মতে, ‘‘আকাশে মেঘ করলেও সিবিআই তদন্ত চায় বিজেপি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন