Murder Case

স্ত্রীর রাগ ভাঙিয়ে বাড়িতে এনে গলা টিপে খুন! স্বামীর খোঁজে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি হুগলির মগরায়

তারকেশ্বরের বাসিন্দা শিল্পা রায় এবং মগরার বাসিন্দা গৌতম মালিক প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। শিল্পার বাপের বাড়ির অভিযোগ, গৌতমের মদ্যপানে আসক্তির জন্য নিত্যদিন স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তারকেশ্বরে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন স্বামী। স্ত্রীর রাগ ভাঙিয়ে তাঁকে মগরায় বাড়িতে আনেন স্বামী। কিন্তু বুধবার সকালে সেই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হল মহিলার দেহ। তার পর খোঁজ মিলছে না স্বামীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল মগরার গজঘণ্টা মালিকপাড়া এলাকায়। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করে পালিয়েছেন জামাই। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১০ সালে তারকেশ্বর আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিল্পা রায় এবং মগরার গজঘণ্টা মালিকপাড়া এলাকার গৌতম মালিক প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। দম্পতির দুই নাবালক সন্তান রয়েছে। শিল্পার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের অভিযোগ, গৌতমের মদ্যপানে আসক্তির জন্য স্ত্রীর সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি হত। প্রায় প্রতি রাতেই মদ খেয়ে বাড়ি ফেরে স্ত্রীকে মারধর করতেন গাড়িচালক গৌতম। সপ্তাহখানেক আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান শিল্পা। বেশ কয়েক বার স্বামী ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি বাড়ি ফিরে আসতে চাননি। মঙ্গলবার তারকেশ্বরে শ্বশুরবাড়িতে যান গৌতম। স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান। বুধবার ভোরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। আর সকাল ৭টা নাগাদ ঘরে মৃত অবস্থায় শিল্পাকে পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা। তার পর খবর যায় থানায়।

অভিযুক্ত যুবকের বৌদি সুজাতা মালিক বলেন, ‘‘ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজই অশান্তি হত। আজ (বুধবার) সকালে দেখলাম ঘর থেকে দেওরকে বেরিয়ে যেতে। আমাদের সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক ছিল না। তাই ওদের পরিবারে কী হয়েছে, কিছু জানি না।’’ অন্য দিকে, মৃতার ভাই দীপঙ্কর রায়ের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই দিদির উপর অত্যাচার চালাত জামাইবাবু। আগেও মারধর করেছে বলে দিদি বাড়ি ছেড়ে আমাদের কাছে এসে থেকেছে। সপ্তাহখানেক আগেও তা-ই হয়। পরে জামাইবাবু আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। দিদিকে নিয়ে বুধবারই মগরায় আসে। সকালে ওদের এক প্রতিবেশী ফোন করে খবর দিল যে, দিদিকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে!’’ শিল্পার দিদি পাপিয়া প্রামাণিক বলেন, ‘‘নেশা করে বোনের উপর অত্যাচার করত। ওকে খুন করার উদ্দেশ্যেই বুধবার ভোরবেলায় নিয়ে চলে আসে। আমার বোনকে যে ভাবে মেরেছে, ওরও সেই রকম শাস্তি চাই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement