Balagarh Murder Case

মদ খেয়ে বৃদ্ধাকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে খুন! অভিযুক্তকে ঘিরে ধরে মার, বলাগড়ে বসল পুলিশ পিকেট

শনিবার দুপুরে খামারগাছির কাদামঘুটু গ্রামের বাসিন্দা সমর সরেন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি রাস্তায় একে-ওকে গালাগালি করছিলেন। তা নিয়ে বছর ষাটের বাদলি মান্ডি নামে প্রতিবেশী বকাবকি করেছিলেন সমরকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১৯:২৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মত্ত অবস্থায় এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে শোরগোল হুগলির বলাগড় থানা এলাকায়। শনিবার এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বলাগড়ের খামারগাছি কাদামঘুটু গ্রামে। অভিযুক্তকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলাগড় থানার পুলিশ। উত্তেজনা প্রশমন করতে এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে খামারগাছির কাদামঘুটু গ্রামের বাসিন্দা সমর সরেন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি রাস্তায় একে-ওকে গালাগালি করছিলেন। তা নিয়ে বছর ষাটের বাদলি মান্ডি নামে প্রতিবেশী বকাবকি করেছিলেন সমরকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উল্টে বৃদ্ধাকেও গালাগালি শুরু করেন সমর। বাদলি প্রতিবাদ করলে একটি মুগুর দিয়ে তাঁর মাথায় মারেন ওই মত্ত যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর গ্রামে যেতেই শুরু হয় শোরগোল। শুরু হয় অভিযুক্তকে মারধর। খবর পেয়ে বলাগড় থানার পুলিশ ওই গ্রামে যায়। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (অপরাধ) অভিজিৎ সিন্‌হা মহাপাত্রেরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগেও মত্ত অবস্থায় এলাকার লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন সমর। তাঁকে নিয়ে এলাকায় সালিশি সভা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু মদ খেয়ে তাঁর গন্ডগোল করার ‘নেশা’ যায়নি। শনিবার নেশা করে গিয়ে খুন পর্যন্ত করে ফেলেছেন সমর।

Advertisement

ওই ঘটনার পর থেকে থমথমে ওই আদিবাসী গ্রাম। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। ডিএসপি অভিজিৎ সিন্‌হা মহাপাত্র বলেন, ‘‘একটা ঘটনা ঘটেছে হামজানপুর কাদামঘুটু গ্রামে। এক যুবক মত্ত ছিলেন। তিনি ঝামেলা করছিলেন। এক বৃদ্ধাকে কাঠের মুগুর দিয়ে মাথায় মারেন বলেও অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বৃদ্ধাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা জখমকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু মারা যান তিনি। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement