—প্রতীকী চিত্র।
ঋণের টাকা শোধ করতে পারেননি। সে জন্য চাপ দিচ্ছিলেন ঋণদাতারা। অভিযোগ, ওই মানসিক চাপে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া গির্জাপুকুর এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাকেশ চন্দ। আত্মহননের আগে একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন তিনি। জানা যাচ্ছে, সেখানে জনৈক চিকিৎসকের নাম করে রাকেশ বলেন, তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। তিনি এত টাকা দিতে পারবেন না বলায় মানসিক অত্যাচার করা হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলেন। মৃত্যুর আগে ভিডিয়ো কলে তাঁর আবেদন, মা-বোনকে যেন বাড়ি থেকে বার করে না-দেওয়া হয়।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার নিজের ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন রাকেশ। সকালে তাঁর দেহ উদ্ধারের পর ওই ভিডিয়ো দেখে চিকিৎসকের বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয়েরা। তবে সেই চিকিৎসক দাবি করেছেন, ২৫ লক্ষ টাকাই ধার নিয়েছিলেন রাকেশ। স্ট্যাম্প পেপারে সই করে টাকা নিয়েছিলেন। তিনি টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। কোনও দিন চাপ দেননি।
রাকেশের পরিবার জানায়, গত চার বছর ধরে একটি প্রকল্পের কাজ করছিলেন পেশায় ঠিকাদার ওই যুবক। কাজ করে ১৮ লক্ষ টাকা পাননি। সে জন্য দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তার পর ঋণ মেটানোর চাপ সহ্য করতে পারেননি। রাকেশের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।