Kamarpukur Man Beaten To Death

‘তিনটে সেদ্ধ ডিম খেয়ে ফেললি?’ ক্লাবে খাওয়াদাওয়ার সময় গন্ডগোল, যুবককে পিটিয়ে খুন করলেন বন্ধুরা!

শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন উপলক্ষে কামারহাটির ক্লাবে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। তার পর রাতে ক্লাবের সদস্যেরা খেতে বসেছিলেন। সেখানেই শুরু হয় গন্ডগোল। খুন হন রামচন্দ্র ঘোষাল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৮
Share:

২৬ বছরের রামচন্দ্র ঘোষালের দেহ পড়ে ছিল রাস্তায়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। —নিজস্ব চিত্র।

প্রতিমা বিসর্জনের পর ক্লাবঘরে জড়ো হয়েছিলেন সদস্যেরা। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল। সেখানে তিনটি সেদ্ধ ডিম কেন আগে খেয়ে নিয়েছেন এক সদস্য, তাই নিয়ে গোলমাল বাধে। ডিম খেয়ে নেওয়ার অপরাধে সেই সদস্যকে পিটিয়ে খুন করে ফেলার অভিযোগ উঠল বন্ধুদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কামারপুকুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। ২৬ বছরের ওই যুবকের মৃত্যুতে শোরগোল এলাকায়। খুনের অভিযোগে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন উপলক্ষে কামারহাটির ক্লাবে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। তার পর রাতে ক্লাবের সদস্যেরা খেতে বসেছিলেন। সেখানেই শুরু হয় গন্ডগোল। অভিযোগ, রামচন্দ্র ঘোষাল নামে ২৬ বছরের এক যুবক তিনটি সেদ্ধ ডিম আগে খেয়ে নেন বলে তাঁর উপর চড়াও হন বন্ধুরা। খানিক তর্কাতর্কি হয়। থেমেও যায়। পরে তিনি বাড়ি ফেরার সময় আবার এক দফা বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কামারপুকুরের তারক ঘোষালের একমাত্র পুত্র রামচন্দ্রের বাড়ি লাহাবাজার এলাকায়। স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে ওই ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন ছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ওই রামচন্দ্র। অভিযোগ, রাজু মাইতি নামে এক যুবক রামচন্দ্রকে মারতে মারতে কামারপুকুরে শ্রীধাম প্রতীক্ষালয়ে নিয়ে যান। সেখানেই থেকে ফেলে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন। তাঁকে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

এমন তুচ্ছ কারণে খুনোখুনির ঘটনায় তাজ্জব এলাকাবাসী। কেউ কেউ এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের দাবি, যেখানে বচসা চলছিল, তার কয়েক মিটারের মধ্যে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। তা ছাড়া কয়েক মাস আগে হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য একাধিক সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে উদ্বোধন করেছেন। তার পরেও এমন ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী। পুলিশ সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে এই মুহূর্তে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement