ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
আবার খুন ব্যবসায়ী! বিহারের এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন হাওড়ায়। এ বার হাওড়ার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল হুগলিতে। তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওয়াসিম আক্রম নামে এক ব্যবসায়ী। বুধবার হুগলির চন্দননগরে একটি আবাসন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নবমীর সন্ধ্যায় এ নিয়ে শোরগোল ওই এলাকায়।
মৃতের আক্রমের বয়স ত্রিশের আশপাশে। গ্রহরত্নের ব্যবসা করতেন তিনি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। ওই দিনই গোলাবাড়ি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে ব্যবসায়ীর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীর খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
এর মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় চন্দননগর থানার পুলিশ বেশোহাটা এলাকার একটি আবাসনের তিনতলার দরজা ভেঙে একটি দেহ উদ্ধার করে। যে ফ্ল্যাটটি থেকে দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে ভাড়া থাকেন কাজি মহসিন নামে এক ব্যক্তি। উদ্ধার হওয়া দেহ আক্রমের বলে চিহ্নিত করে পুলিশ। জানা যায়, মহসিনের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। দু’জনে বন্ধু ছিলেন। পুলিশের সন্দেহ, ব্যবসায় কোনও দ্বন্দ্ব বা গন্ডগোলের জেরে মহসিনই আক্রমকে খুন করেছেন। ইতিমধ্যে ওই রত্ন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, আগামী ২৮ অক্টোবর বিয়ে ছিল আক্রমের। বিয়ের ২৭ দিন আগে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোকস্তব্ধ এবং বিস্মিত পরিবার। তারা দ্রুত বিচার চাইছে। পরিবারের এ-ও দাবি, আক্রমের দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর হাত-পা এবং মুখে টেপ জড়ানো ছিল। যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরে একটি বড় ট্রলি ব্যাগ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে তারা। চলছে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ।
উল্লেখ্য, অষ্টমীর রাতে হাওড়ায় খুন হয়েছেন বিহারের ব্যবসায়ী সুরেশ যাদব। দুর্গাপুজো উপলক্ষে কিছু দিন আগে সস্ত্রীক হাওড়ায় এসেছিলেন তিনি। বনবিহারী বসু লেনে কয়েক জন বাইকে চেপে এসে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগে। ওই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্য দিকে, সুরেশের নামে অতীতে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁর খুনের সঙ্গে অতীতের কোনও অপরাধের যোগ রয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।