Death

রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া হাওড়ার যুবকের মৃত্যু হাসপাতালে, উঠছে খুনের অভিযোগ

দিন কয়েক আগে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল হাওড়ার এক যুবককে। মঙ্গলবার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। ওই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ২০:০৯
Share:

শান্তনু দাস। — নিজস্ব চিত্র।

দিন কয়েক আগে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল হাওড়ার এক যুবককে। মঙ্গলবার এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। ওই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। ওই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলছে যুবকের পরিবার।

Advertisement

শান্তনু দাস (৩০) নামে ওই যুবক জগাছার ধারসা গভর্নমেন্ট কলোনি এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি গ্যারাজের মালিক ছিলেন। তার দিদি অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গত শনিবার রাতে বন্ধুরা শান্তনুকে ফোন করে ডেকেছিল। অর্পিতা বলেন, ‘‘ওই দিন ওর ঘরে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে শান্তনুকে ফোন করি। জানতে পারি যে, ও বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছে। ও আমাকে ফোনে বলে, ‘‘আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরব।’’ কিন্তু সে রাতে শান্তনু বাড়ি ফেরেনি। পর দিন জগাছা প্রেস কোয়ার্টারের সিজিএস মাঠে শান্তনুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।’’ শান্তনুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার তাঁকে তিন জন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তাঁর পরিবারের দাবি, শান্তনুর গোটা শরীরে আঘাতের দাগ ছিল। এর পর তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে শান্তনুর।

এই ঘটনায় জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করে শান্তনুর পরিবারের লোকজন। শান্তনুর বোন সুপর্ণা বলেন, ‘‘আমরা মনে করি এটা খুনের ঘটনা। সমাজমাধ্যমের সূত্র ধরে বনগাঁর বাসিন্দা জয়শ্রী সরকারের সঙ্গে তার প্রেম হয়েছিল। জয়শ্রী বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে জয়শ্রীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল শান্তনু। কিন্তু দিন পনেরো সংসার করার পর ও চলে যায়। এর পর জয়শ্রী হুমকি দিতো শান্তনুকে।’’ তাই শান্তনুর মৃত্যুর পিছনে থাকতে জয়শ্রীর হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে তাঁর পরিবার। জগাছা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিচিতদের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন