TMC

সরকারি কর্মীদের ‘স্যর’ বললে হবে না, কাজ আদায়ে পঞ্চায়েতকে পরামর্শ তৃণমূল বিধায়কের

স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীদের। স্থানীয়দের দাবি, বহু দিন ধরে জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কিছু ঠিক হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৬
Share:

হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত সদস্যরা সরকারি আধিকারিকদের ‘স্যর’ বলছেন। আর ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করার কারণেই সরকারি কর্মীরা বেশি আস্কারা পেয়ে যাচ্ছেন। জন প্রতিনিধিদের যা খুশি বোঝাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। হুগলির দেবানন্দপুরে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্তব্য হুগলির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের।

Advertisement

সোমবার দেবানন্দপুরের স্থানীয় মানুষদের জলের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। স্থানীয়দের অভিযোগ, দেবানন্দপুরের মালিকপাড়া, বিশালাক্ষীতলা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নলবাহিত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তার জেরে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখেও এই দিন পড়তে হয় তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীদের। স্থানীয়দের দাবি, বহু দিন ধরে জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত কিছু ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ শুনে পঞ্চায়েত সদস্যদের কড়া বার্তাও দিতে শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। এর পর সপ্তাহ খানেকের মধ্যে জলের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান অসিত।

কিন্তু কেন বার বার অভিযোগ করা সত্ত্বেও জলের সমস্যা মিটছে না, প্রশ্নের উত্তরে অসিত বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের সদস্যরা জনপ্রতিনিধি। ওদের বার বার বলেছি তোমরা বিষয়টা দেখ। ওরা তো জনপ্রিতিনিধি। ওরা সরকারি অফিসারদের স্যর বলছে! সরকারি কর্মচারীরা যা বুঝিয়ে দেবে বুঝলে হবে! অতএব ওদের আমার কাছে বকা খেতে হবে। এর আগেও আমি পঞ্চায়েত সদস্যদের জলের সমস্যা মেটাতে বলেছি। মানুষ কোনও সমস্যায় পড়লে আমাকে ফোন করে। তার মানে পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর আস্থা কম।’’

Advertisement

জলের এই সমস্যার প্রভাব কী পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে? অসিতের দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাংলায় আর কিছু আছে! রাস্তাঘাট, জলের সমস্যা হলে আমরাই ঠিক করে দেব। অন্য কেউ দেবে? বিরোধীদল আছে? প্রতিটা বাড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়ায় রয়েছে। কিছু না কিছু পায়। তা হলে তৃণমূল ছাড়া আছে কী? ভাল করলেও তৃণমূল, খারাপ করলেও তৃণমূল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন