Petrol

Tanker Strike: পেট্রল-ডিজেল অমিল পাম্পে, ট্যাঙ্কার সংগঠনের ধর্মঘটে বাড়তে পারে ভোগান্তি

হাওড়া, কলকাতা, নদিয়া এবং দুই ২৪ পরগনা জেলায় বহু পাম্পে শুক্রবার সন্ধ্যায় পেট্রল-ডিজেল অমিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২১ ০৩:০৬
Share:

হাওড়ার একটি পাম্পে ডিজেল শেষ। লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে ‘নো স্টক’ বোর্ড। —নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া এবং কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার পেট্রল পাম্পে পাওয়া যাচ্ছে না জ্বালানী। শুক্রবার ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে অনড় রাজ্যের অয়েল ট্যাঙ্কার সংগঠন। যার জেরে হাওড়া, কলকাতা, নদিয়া এবং দুই ২৪ পরগনা জেলায় প্রায় ১ হাজার পাম্পে শুক্রবার সন্ধ্যায় পেট্রল-ডিজেল অমিল। ফলে ওই পেট্রল পাম্পগুলি থেকে তেল না পেয়ে ফিরে গিয়েছেন দু’চার চাকার মালিকেরা। এ ভাবে ধর্মঘট চলতে থাকলে ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা পেট্রল পাম্প মালিকদের।

পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে রাজ্যে জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে রাজ্যের অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠন। যদিও শুধুমাত্র হাওড়া জেলার মৌরিগ্রাম ডিপোতেই এই ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। সেখানে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে আন্দোলন।

Advertisement

সমাধানসূত্র বার করার জন্য শুক্রবার মৌড়িগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠনের বৈঠক হয়। কিন্তু সে বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি। বৈঠকের পর ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের দাবিগুলি মেনে নেওয়া হয়নি। ফলে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন তারা। এতেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। পাম্প মালিকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন শুক্রবার বলেন, ‘‘ধর্মঘট চলতে থাকলে কলকাতা এবং হাওড়া ছাড়াও এর পাশ্ববর্তী জেলার পাম্পগুলি শুকিয়ে যাবে। তেলের অভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।” ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:

তবে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের এই দাবি সত্ত্বেও দ্রুত সমাধান হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বহু পেট্রল পাম্প মালিক। শুক্রবার মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে তেল ভর্তি করে বেরোয়নি অন্তত ৫৫০টি ট্যাঙ্কার। ফলে শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বহু পাম্পে জ্বালানী ফুরিয়ে হয়ে যায়। বহু পাম্পে ‘নো স্টক’ বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এক সময় সেগুলি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন পাম্প মালিকেরা। তাঁদের দাবি, এর জেরে অ্যাম্বুল্যান্স এবং পুলিশের গাড়িও তেল না পেয়ে ফিরে যায়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন