NO salary for workers

নিয়মিত বেতন মিলছে কই, ক্ষোভ হাওড়ার পাম্প অপারেটরদের

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত জল সরবরাহের জন্য বিভিন্ন পঞ্চায়েতে চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকায় মিনি পাম্প হাউস গড়া হয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:০০
Share:

নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না পাম্প অপারেটররা। প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব আয় তলানিতে। বাড়তি অর্থসংস্থান নেই। এই অবস্থায় হাওড়ার বেশিরভাগ পঞ্চায়েত তাদের পাম্প অপারেটরদের বেতন দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে। বেতন অনিয়মিত হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত জল সরবরাহের জন্য বিভিন্ন পঞ্চায়েতে চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের টাকায় মিনি পাম্প হাউস গড়া হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর তাদের নিজস্ব পাম্প হাউসের অপারেটরদের বেতন দেয়। ওই কর্মীরা চুক্তির ভিত্তিতে ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে নিয়োজিত হলেও তাঁদের বেতন মোটের উপরে নিয়মিত হয়। সমস্যা দেখা দিয়েছে পঞ্চায়েতের নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি পাম্পগুলির অপারেটরদের বেতন নিয়ে।পঞ্চায়েতের পাম্প অপারেটরদের বেতন খুবই কম। মাসে গড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে পান তাঁরা। সেই বেতন দেওয়ার কথা পঞ্চায়েতেরই। কিন্তু হাওড়ার বেশির ভাগ পঞ্চায়েতই সেই বেতন ঠিক মতো দিতে পারছে না বলে অভিযোগ।

জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের অবস্থা করুণ। সেই কারণেই তাঁরা ওই অপারেটরদের বেতন নিয়মিত দিতে পারছেন না। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান, ‘পঞ্চায়েতগুলিকে বলা হয়েছে, তারা কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের ‘আনটায়েড ফান্ড’-এর (নিঃশর্ত তহবিল) যে টাকা পান, তার দশ শতাংশ অপারেটরদের বেতন বাবদ খরচ করতে পারে।

Advertisement

কিন্তু বিভিন্ন পঞ্চায়েতের দাবি, বছরে দু’বার ওই তহবিলের টাকা মেলে। কিন্তু তার পরিমাণ এমনিতেই কম। তার ১০ শতাংশ টাকায় পাম্প অপারেটরদের তিন মাসের বেতনও দেওয়া যায় না।

বাগনান-১ ব্লকের বাগনান-২ পঞ্চায়েতের ছ’টি পাম্প হাউসে ছ’জন অপারেটর আছেন। প্রায় এক বছরের বকেয়া বেতনের কিছু টাকা তাঁদের মাস দুয়েক আগে দেওয়া হয়। ফের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এক পাম্প অপারেটরের ক্ষোভ, ‘‘এই গরমের মধ্যে আমরা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে পাম্প চালিয়ে জল সরবরাহ করছি। অথচ, আমরাই বেতন পাচ্ছি না।’’

বাগনান-১ পঞ্চায়েতের ছয় অপারেটরেরও একই হাল। অনেক মাসের বকেয়া বেতনের কিছু টাকা তাঁরা হাতে পেয়েছেন ইদের আগে। তাঁরা জানান, কিছু টাকা পেলেও আগামী মাস থেকে বেতন পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

বাগনান-১ এবং ২ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স এখন অনলাইনে হয়। বাড়ি তৈরির অনুমতিও দেওয়া হয় অনলাইনে। তার জন্য কত ফি লাগবে, সেটা ঠিক করে দিয়েছে সরকার। যার হার খুব কম। ফলে, এই খাত থেকে আগে যে আয় হত, তা এখন অনেক কমে গিয়েছে। শুধু পাম্প অপারেটরদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে না, পাম্পগুলি চালানোর জন্য যে পরিমাণ বিদ্যুতের বিলআসে, সেটাও মেটানো যাচ্ছে না।লক্ষ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থেকে যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন