Son Murders Father

নেশার টাকা না দেওয়ায় হাওড়ায় বাবাকে ইট দিয়ে খুন পুত্রের! গ্রেফতার পুলিশের হাতে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কুমারেশ‌ সে ভাবে কোনও কাজই করতেন না। সারা দিন নেশা করতেন। নেশার টাকা না পেয়ে গত কয়েক দিন ধরে তিনি বাড়িতেও অশান্তি করছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জগন্নাথপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৮:৫১
Share:

— প্রতীকী ছবি।

নেশা করার টাকা দিচ্ছিলেন না বাবা। তাই রাগের মাথায় বাবাকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল পুত্রের বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাতে হাওড়ার রাজাপুর থানার জগন্নাথপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ব্যক্তির নাম তপন মণ্ডল (৫৮)। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত কুমারেশ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কুমারেশ‌ সে ভাবে কোনও কাজ করতেন না। সারা দিন নেশা করতেন। নেশার টাকা না পেয়ে গত কয়েক দিন ধরে তিনি বাড়িতেও অশান্তি করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কুমারেশের সঙ্গে তাঁর বাবা তপনের ঝামেলা বাধে। অভিযোগ, এর পরই কুমারেশ রাগের বশে ইট হাতে বাবার উপর চড়াও হন। একাধিক ইটের আঘাতে মৃত্যু হয় তপনের। বৃহস্পতিবার সকালে তপন ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে তপনের ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্য দিকে, এই ঘটনার পর কুমারেশ পালাতে গেলে এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে রাজাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুমারেশকে আটক করে।

ধৃতের স্ত্রী অঞ্জলি মণ্ডল জানান, কুমারেশ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজ না করে বাড়িতে বসেছিলেন। সারা ক্ষণ নেশা করতেন। নেশার করার টাকা নিয়েওবাড়িতে অশান্তি করতেন তিনি। এই নিয়ে পুরো পরিবার সবসময় তটস্থ থাকত বলেও তিনি জানিয়েছেন। ইদানিং কুমারেশ বটি, কাটারি, রড নিয়ে ঘুরে বেড়াতো বলেও তাঁর অভিযোগ।

Advertisement

অঞ্জলি আরও জানান, বুধবার রাতেও নেশার টাকা না পেয়ে অশান্তি করেছিল‌‌েন কুমারেশ। তাঁর দাবি, কুমারেশ বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন