TMC

শাসকের তোপে পুলিশে বদলি! জল্পনা হুগলিতে

শাসক দলের এক বিধায়ক চন্দননগর কমিশনারেটের ভূমিকা নিয়ে তোপ দাগেন। তার পরেই চুঁচুড়া থানার তৎকালীন আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলি করা হয় তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকেও।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দায়িত্ব নেওয়ার দিন দশেকের মধ্যে বদলি হয়ে গিয়েছেন রিষড়া এবং উত্তরপাড়া থানার আইসি। ক’দিন আগে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শাসক দলের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার পরেই এই বদলির জেরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অন্দরে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। নির্বাচনের মুখে এ নিয়ে পুলিশের একাংশ তটস্থও। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কথাও বলছেন তাঁরা। এই বদলি রাজনৈতিক চর্চারও বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

বিজেপি অভিযোগ করছে, শাসক দলের নেতাদের হয়ে কাজ না করলেই পুলিশকে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। চন্দননগর কমিশনারেটের কোনও কর্তা এ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবও কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, শাসক দলের এক নেতা মানছেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগের সুর অনেক ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতাদের মতো শোনাচ্ছে। আমাদের অনেক সংযত থাকা উচিত। না হলে ভোটের মুখে মানুষের কাছে হয়তো সঠিক বার্তা যাবে না।’’ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিচুতলার কর্মীদের একাংশ।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরপাড়া থেকে চাঁপদানি পর্যন্ত জিটি রোড ধরে মোটরবাইক মিছিল করেন বিজেপির রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। পরের দিন দলীয় কর্মসূচিতে শাসক দলের ওই নেতা সরাসরি মাইকে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। পুলিশ তৃণমূলকে বাইক-মিছিলের অনুমতি না দিলেও বিজেপিকে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

Advertisement

চন্দননগর কমিশনারেটের অবশ্য দাবি, কোনও দলকেই বাইক-মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিজেপির কিছু কর্মী মিছিলে বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন। পুলিশ তাঁদের জোর করে ফিরিয়ে দিলে অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণে বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। কোনও অশান্তি হয়নি।

এর কিছু দিন আগে শ্রীরামপুরে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে একটি গোলমালের ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের এক নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে এক পুলিশ আধিকারিককে প্রকাশ্যে কার্যত ধমক দিতে দেখা যায় শাসক দলের এই নেতাকে। ওই বিজেপি নেতাকে না ধরলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। পরের দিনই পুলিশ ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে।

তবে, শাসক দলের নেতার শাসানির পরে পুলিশ আধিকারিকের বদলি চন্দননগর কমিশনারেটে এই প্রথম নয়। দেড় বছর আগে ব্যান্ডেল স্টেশনে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার পরেই শাসক দলের এক বিধায়ক চন্দননগর কমিশনারেটের ভূমিকা নিয়ে তোপ দাগেন। তার পরেই চুঁচুড়া থানার তৎকালীন আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হয়। বদলি করা হয় তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন