Illegal

Illegal: সরকারি জমিতে ভেড়ি তৈরি বন্ধ করল পুরসভা

দিল্লি রোডের ধারে দীর্ঘাঙ্গি মোড় সংলগ্ন কঠিন বর্জ্য প্রকল্পের সামনে ওই জায়গায় বেশ কয়েক দিন ধরেই যন্ত্র নামিয়ে ভেড়ি কাটা হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈদ্যবাটী শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ০৫:৪৭
Share:

ভেড়ি খননের কাজ বন্ধ করতে পুর আধিকারিকেরা। ছবি: কেদারনাথ ঘোষ

নয়ানজুলির জল আটকে দিল্লি রোড সংলগ্ন সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে মাটি কেটে ভেড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল হুগলির বৈদ্যবাটীতে। অভিযোগের আঙুল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই ওই কাজ বন্ধ করলেন পুর-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পুরসভার অধীনস্থ আঞ্চলিক কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আধিকারিক মিলন দাস বুধবার লিখিত অভিযোগ করেন পুরসভায়। বৃহস্পতিবার পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেড়ি খননের কাজ বন্ধ করে দেন।

পুরপ্রধান বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরের জমিতে ছোট জলাশয়ে পানিফল চাষ হত। সেখানেই ভেড়ি কাটা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান করে পুরসভার তরফে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি, রিপোর্ট তৈরি করতে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের দাবি, দিল্লি রোডের ধারে দীর্ঘাঙ্গি মোড় সংলগ্ন কঠিন বর্জ্য প্রকল্পের সামনে ওই জায়গায় বেশ কয়েক দিন ধরেই যন্ত্র নামিয়ে ভেড়ি কাটা হচ্ছিল। সরকারি জায়গায় কী ভাবে ওই কাজ হতে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। তবে স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাপস ভট্ট ওই কাজের তদারকি করায় অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি।

তাপস অবশ্য অন্যায়ের কিছু দেখছেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওখানে পুকুর ছিল। পরিষ্কার করে খনন করেছি। ভরাট করিনি বা মাটি বিক্রি করিনি। কোনও ভেড়িও হয়নি। অনুমতি নেওয়ার কিছু নেই। কঠিন বর্জ্য প্রকল্পে বিধায়ক, পুরপ্রধান, সরকারি আধিকারিক সকলেই আসেন। এটা হচ্ছে, সকলেই দেখেছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পের মতোই এটার কাজ হবে। মাছ ব্যবসায়ীরা ওই জল ব্যবহার করতে পারবেন। স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অকারণ অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

তাপস যা-ই বলুন, বিধায়ক স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, ওই কাজ নিয়ম মেনে হয়নি। বিধায়কের কথায়, ‘‘কোনও বেআইনি কাজকে সমর্থন করি না। সরকারি জায়গায় বিনা অনুমতিতে কিছু করাটা অন্যায়। রাস্তায় যেতে আসতে অনেক কাজেই আমাদের চোখে পড়ে। কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ সেটা সব সময় জানা বা বোঝা সম্ভব হয় না। অভিযোগ খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে পুরসভা সেটাই করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন