Illegal Construction

হুগলিতে পাঁচিল ভেঙে মৃত দুই শ্রমিক, নিয়ম না মেনে নির্মাণ কী ভাবে? প্রশ্ন বিরোধীদের, জবাব তৃণমূলের

নির্মাতা গণেশ দাস বলেন, ‘‘স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক নয়। বাঁশ দিয়ে পাঁচিল ঘেরা ছিল। কপালে ছিল তাই দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে। পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। কিন্তু কোনও অভিযোগ ছিল না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১২
Share:

হুগলিতে ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বাড়ির অংশ। —নিজস্ব চিত্র।

হুগলিতে নির্মাণ কাজ চলাকালীন মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হুগলির নবগ্রামে পঞ্চায়েতের নবচক্র এলাকায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নির্মাণ কাজ চলার সময় পাঁচিল ধসে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় দু’জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক জন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই শ্রমিকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ওই দুর্ঘটনা নিয়ে নির্মাতার বক্তব্য, ‘‘কপালে ছিল, তাই হয়েছে।’’

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, কাজ করার সময় দুর্ঘটনা এড়াতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পুরনো নির্মাণ ভেঙে নতুন করে তৈরি হচ্ছিল। দুর্ঘটনাস্থলে আহত এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। অন্য দু’জনকে আহত অবস্থায় উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য জনকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। ওই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, কোনও রকম নিরাপত্তা ছিল না। তাঁদের আরও দাবি, রাস্তার পাশে কাজ হচ্ছে অথচ পুরনো পাঁচিল ঘেরা হয়নি। ওই দুর্ঘটনার ফলে আরও ক্ষতি হতে পারত।

নির্মাতা গণেশ দাস বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সকালে ২০ জন শ্রমিক কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ সঠিক নয়। বাঁশ দিয়ে পাঁচিল ঘেরা ছিল। কপালে ছিল তাই দুর্ঘটনা হয়ে গিয়েছে। পনেরো দিন ধরে কাজ চলছিল। কিন্তু কোনও অভিযোগ ছিল না।’’ ওই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত এলাকায় পাঁচ তলা নির্মাণের অনুমতি কী ভাবে মিলল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি এবং বাম নেতাদের বক্তব্য, নিয়ম না মেনেই ওই নির্মাণ চলছিল। তাঁদের প্রশ্ন, পঞ্চায়েত এলাকায় ‘জি-প্লাস ফোর’ আবাসনের অনুমতি কী ভাবে দেওয়া হল? তাঁদের দাবি, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের ওয়ার্ডেই এই কাজ হয়েছে। অন্যত্রও এই সব নির্মাণ হয়তো চলছে।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, ‘‘আবাসন তৈরি হচ্ছিল জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে। অসাবধানতাবশত একটি পাঁচিল ভেঙে দুর্ঘটনাটি ঘটে।’’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল। তাতে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২ এপ্রিল বৌবাজারের রামকানাই অধিকারী লেনে ভেঙে পড়েছিল একটি পুরনো বাড়ির একাংশ। তার তিন দিনের মধ্যে আবারও কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে ভাঙে পুরনো বাড়ির একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন