srirampur

রথ মিটলেই পর্যটন কেন্দ্র গড়ার বাকি কাজ সারা হবে মাহেশে, জানালেন পর্যটনমন্ত্রী

পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ পরিদর্শনে শুক্রবার জগন্নাথ মন্দিরে আসেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২১ ১৭:৩৬
Share:

শ্রীরামপুরে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। শুক্রবারের নিজস্ব চিত্র।

অতিমারি পর্বেও যে ভাবে শ্রীরামপুরে মাহেশের রথ ও জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে রাজ্যে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ চলেছে, তার প্রশংসা করলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। জানান, যেটুকু কাজ বাকি আছে, রথ মিটলেই তা সেরে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Advertisement

পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ পরিদর্শনে শুক্রবার জগন্নাথ মন্দিরে আসেন ইন্দ্রনীল। সেখানে তিনি বৈঠকে বসেন হুগলির জেলাশাসক, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, শ্রীরামপুরের পুর প্রশাসক অমিয় মুখোপাধ্যায় এবং জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে।

পরে পর্যটন মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন মাহেশে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠুক। সেই মতো ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। তার পরপরই শুরু হয় অতিমারি। তবু তার মধ্যেও যে ভাবে কাজ হয়েছে তা প্রশংসনীয়। আর দু’-এক শতাংশ কাজ বাকি আছে। সেটাও শেষ হয়ে যাবে।’’

Advertisement

তিনি এও জানান, মন্দিরের সামনে স্নানপিঁড়ির মাঠের হাল খুব খারাপ। সেটাও ঘিরে দেওয়া হবে। আগামী ১২ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রথকে কেন্দ্র করে সকলে ব্যস্ত থাকবেন। তার পরেই বাকি কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। তবে মন্দিরের গর্ভগৃহ সংস্কারের কাজ বাকি আছে। অতিথিশালা নির্মাণ-সহ বাকি আছে আরও কিছু কাজ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা করেন। সেই মতো কাজ শুরু হয় দু’বছর আগে। জগন্নাথ মন্দির সংস্কার, মন্দির চত্বরে আরও কয়েকটি ছোটো ছোটো মন্দিরের সংস্কার, মাহেশে জিটি রোডের উপর তোরণ নির্মাণ, জগন্নাথ ঘাটের সংস্কার, গঙ্গার পাড়ে পার্ক তৈরি, মাসির বাড়ি সংস্কার, সিংহদুয়ার, অতিথিশালা, রন্ধনশলা, ভোগ ও প্রসাদ বিলি কক্ষকে ঢেলে সাজারও কাজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন