Electrocuted to death

Electrocuted death: তড়িদাহত হয়ে সিঙ্গুরে মৃত্যু মহিলার, হুক করার খোলা তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, মনে করছে পুলিশ

দীর্ঘ দিন ধরে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা ঘটলেও বিদ্যুৎ দফতরের তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ১৬:১৯
Share:

ঘাস কাটতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু মহিলার। নিজস্ব চিত্র।

ঘাস কাটতে গিয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সিঙ্গুরের ভোলা গ্রামে। অভিযোগ, ওই এলাকায় হুক করে আলো জ্বালিয়ে দোকান চালানো হয়। ঝোপজঙ্গলে পড়ে থাকা সেই বিদ্যুতের খোলা তারের সংস্পর্শে আসাতেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ বৈদ্যবাটি তারকেশ্বর রোডের পাশে ভোলা গির্জার কাছে ঝোপজঙ্গলের মধ্যে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মৃতদেহ যেখানে পড়ে ছিল, সেখানেই বিদ্যুতের খোলা তারও পড়ে ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার জন্য রাস্তার পাশে দোকান করার চল রয়েছে। ভোলা গির্জার কাছেও এ রকম অনেক দোকান রয়েছে। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয় হুক করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হুকিংয়ের খোলা তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মহিলা।

ভোলা গ্রামের বাদুরি পাড়ার বাসিন্দা বছর পঁয়তাল্লিশের ভগবতী বাদুরি জমিতে ঘাস কেটে বিক্রি করতেন। শনিবারও তিনি ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। হুকিংয়ের তার খোলা অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা দেখার কেউ ছিল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিদ্যুৎ দফতরের সিঙ্গুর ডিভিশনের ম্যানেজার প্রণয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মহিলার মৃত্যু হয়েছে হুক করার তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। তারের কয়েক জায়গায় জোড়াতালি মারা ছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। কোন দোকান হুক করেছিল তার খোঁজ চলছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগেও এ ভাবেই পড়ে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিদ্যুৎ দফতর বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাতেও যে হুঁশ ফেরেনি, শনিবার সকালে সিঙ্গুরের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন