Crime

সুজাত অস্ত্র কারবারি, শুনে অবাক পড়শিরা

স্থানীয় এক যুবকের কথায়, ‘‘যে সুজাতকে এলাকার লোক চেনে, তার সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ী সুজাতকে মেলানো শক্ত।’’

Advertisement

প্রকাশ পাল

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০১:৩৫
Share:

সুজাত গোস্বামী। নিজস্ব চিত্র

‘ভাল ছেলে’ বলে সুখ্যাতি রয়েছে। তার উপরে ঝুলিতে রয়েছে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমা। আর সেই ভাল ছেলেটার নামেই কি না রিভলভার তৈরির অভিযোগ! নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন সুজাত গোস্বামীর পড়শিরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, অস্ত্র কারবারে জড়িত অভিযোগে কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সুজাত থাকত তার বাবা, মা এবং দিদির সঙ্গে। বছর পঁয়ত্রিশের সুজাত অবিবাহিত। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছে সে। মেধাবী ছাত্র বলে তাকে জানতেন সকলে। এমনকী, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিপ্লোমাও রয়েছে তার। যে কোনও হাতের কাজে তাঁর দক্ষতা রয়েছে। এই নিয়ে অনেকেই তাঁর প্রশংসা করতেন। সুজাত আত্মকেন্দ্রীক নয়। সকলের আপদে-বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ত সে।

স্থানীয় এক যুবকের কথায়, ‘‘যে সুজাতকে এলাকার লোক চেনে, তার সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায়ী সুজাতকে মেলানো শক্ত।’’ পড়শিদের অনেকেই আবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি শুনে চটজলদি দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, আগে ছোটখাট কোনও কাজ করত ওই যুবক। পরে অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু কর। চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকদের কাছে পড়শিদের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা জানতেন, সুজাত গাড়ির যন্ত্রপাতি ঠিক করার কাজ করে। হাতের কাজে সুজাত দক্ষ হওয়ায় তার ঘর থেকে মেশিনের খুটখাট আওয়াজ শুনে কারও সন্দেহ হয়নি। তাদের বাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। লোহার গেট বন্ধ থাকত। উঠোনে গাছগাছালি রয়েছে। তাই ভিতরে কী হচ্ছে, বাইরে থেকে বোঝা যেত না। পুলিশ সেই বাড়িতে হানা দেওয়ার পরে প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, সেখানে গোলমেলে কাজ-কারবার চলত। তদন্তকারীদের দাবি, বাড়ির লোকেরা তাঁদের জানিয়েছেন, একতলার ঘরে বসে সুজাত কী কাজ করত, তাঁরা তা জানতেন না। স্থানীয় সূত্রের খবর, সুজাতর বাবাকে শাসক দলের মিটিং-মিছিলে দেখা যায়।

Advertisement

এ ব্যাপারে তৃণমূলের স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর গিরিধারী সাহার বক্তব্য, ‘‘মিটিং-মিছিলে তো অনেকেই শামিল হন। তবে উনি আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী নন। আর অস্ত্র কারখানা নিয়ে পুলিশ আইন মোতাবেক যা পদক্ষেপ করার করুক। এ ব্যাপারে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন