শুক্রবার রাতে খানাকুলের ধান্যগোড়িতে আত্মীয়ের বাড়ি এসে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যতে খুনের অভিযোগ উঠল শাশুড়ি, ননদ এবং ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে। মৌমিতা সামন্ত (২২) নামে মৃত ওই মহিলার হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে আত্মীয়রা দাবি করলেও মহিলার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালে তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু রপেছে পুলিশ। রবিবার ধৃতদের আরামবাগ আদালতে তোলা হলে শাশুড়ি এবং ননদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ননদের স্বামীকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার হাজরাবেড় গ্রামের মৌমিতার সঙ্গে বছর চারেক আগে বিয়ে হয় এলাকারই দুবরাজপুরের অপূর্ব সামন্তর। অপূর্ব রাজস্থানে সোনা-রুপোর কাজ করেন। গত শনিবার সকালে শাশুড়ি পুত্রবধূকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি ধান্যগোড়ীতে এসেছিলেন। রাতে সেখানেই মৌমিতার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে তাঁর বাবা অভিরাম সামন্তকে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। অভিরামবাবু পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘জামাইয়ের অনুপস্থিতিতে মেয়ের উপরে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হতো। প্রতিবেশীরাও এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। তাই মেয়েকে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যড়যন্ত্র করে খুন করা হয়েছে।’’