তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম চার

তৃণমূল কার্যালয়ের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন ৪ জন। সোমবার খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ-চৌঘষার ঘটনা। আহতদের খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০১:২৫
Share:

প্রতীকী ছবি

দলনেত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে দাঁড়ি পড়ছে না কিছুতেই।

Advertisement

তৃণমূল কার্যালয়ের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন ৪ জন। সোমবার খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ-চৌঘষার ঘটনা। আহতদের খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। দু’পক্ষই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ঘোষপুর অঞ্চলে তৃণমূলের কোনও অঞ্চল কমিটি ছিল না। সেখানে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ঘোষপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইলিয়াস চৌধুরী। দিন তিনেক আগে বিধায়ক ইকবাল আহমেদ সেখানে অঞ্চল কমিটি গঠন করে সভাপতির ভার দেন নজরুল আলি খাঁ ওরফে লালাচাঁদকে। এতেই বিরূপ হন ইলিয়াস অনুগামীরা।

Advertisement

সোমবার বিকেলে নজরুলের অনুগামীরা পিলখাঁ-চৌঘষার দলীয় কার্যালয়ের চাবি ভেঙে ঢোকে বলে অভিযোগ। এর পরেই ইলিয়াসের অনুগামীদের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি বাঁধে বলে অভিযোগ। উপপ্রধান ইলিয়াসের অভিযোগ, ‘‘নজরুলের অনুগামীরা দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ঢ়ুকেছিল। তার প্রতিবাদ করায় আমাদের কয়েকজন মারধর করা হয়।’’ নজরুলের পাল্টা দাবি, ‘‘দলীয় কার্যালয়ে ইলিয়াসের লোক ছাড়া আর কেউ ঢ়ুকতে পারবে না কেন? তাই আমার অনুগামীরা ঢুকতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়।’’ আগামী ১৬ জুন দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন খানাকুলের বিধায়ক। কিছুদিন আগে হুগলিতে দলীয় কর্মিসভায় গোষ্ঠীকোন্দল থামাতে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা যে কারও কানে যায়নি, এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ ফের তার প্রমাণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন