ইঞ্জিনিয়ার ও গাড়ির চালক খুনে ৬ জনের যাবজ্জীবন

সিঙ্গুরে ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর গাড়ির চালক খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৬ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪২
Share:

সিঙ্গুরে ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর গাড়ির চালক খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৬ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক।

Advertisement

শুক্রবার চন্দননগর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক বিমলকান্তি বেরা এই সাজা ঘোষণা করেন। সরকারিপক্ষের আইনজীবী সুশান্ত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘যদিও মামলা চলাকালীন আসামীদের ইতিমধ্যেই ১০ বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা গণ্য হবে না। আমৃত্যু তারা জেলে থাকবে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবে তারা।’’ এ দিন রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র আদালতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। আদালতের দু’টি গেটে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর। আদালত চত্বরে সাদা পোশাকের পুলিশ ছিল প্রচুর। চন্দননগর থানার ওসি স্বপন ঠাকুর নিজে বিশাল বাহিনী নিয়ে আগাগোড়া হাজির ছিলেন আদালতে।

২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি হুগলিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া দু’টি ভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ দু’টি দেহ উদ্ধার করে। একটি দেহ সিঙ্গুর ও অপরটি লাগোয়া দাদপুর থানা এলাকায় পড়েছিল। পরে জানা যায়, দুর্গাপুরের বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার জ্যোতিপ্রকাশ বিশ্বাস সেই সময় সিঙ্গুরে একটি প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। সেই প্রকল্পের কাজেই তাঁর নিত্য যাতায়াত ছিল সিঙ্গুরে। সেই রাতে গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে একটি দুষ্কৃতী দলের কবলে পড়েন তাঁরা। গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় ওই ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর গাড়ির চালক কাঞ্চন দাসকে। তাঁদের খুন করে প্রণব বর নামে এক দুষ্কৃতী ও তার দলবল। ওই দুষ্কৃতীরা আদতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার তদন্তে নেমে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে। প্রশান্ত অধিকারী নামে ওই দলে থাকা এক গাড়িচালক রাজসাক্ষী হন। মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বাকি ৬ জনের এ দিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement