গাদিয়াড়ায় পর্যটনে বাধা বাসস্ট্যান্ড

প্রথমে ঠিক ছিল জেলা পরিষদ তৈরি করবে বাসস্ট্যান্ড। কাজও শুরু হয়। কিন্তু কিছুটা কাজ হওয়ার পরে টাকার অভাবে তারা রণে ভঙ্গ দেয়। এই অবস্থায় ঠিক হয়েছে পরিবহণ দফতরই ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরি করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

ছায়াময়: পর্যটনকেন্দ্র গাদিযাড়ার আকর্ষণ। নিজস্ব চিত্র

প্রথমে ঠিক ছিল জেলা পরিষদ তৈরি করবে বাসস্ট্যান্ড। কাজও শুরু হয়। কিন্তু কিছুটা কাজ হওয়ার পরে টাকার অভাবে তারা রণে ভঙ্গ দেয়। এই অবস্থায় ঠিক হয়েছে পরিবহণ দফতরই ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরি করবে। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। জমি জটে আটকে আছে প্রকল্প। ছবিটা হাওড়া তথা রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র শ্যামপুরের গাদিয়াড়ার।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের তরফে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গাদিয়াড়ার প্রচারে কোনও ঘাটতি রাখা হয়নি। বাগনান-শ্যামপুর রোড এবং উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর রোডে কীভাবে গাদিয়াড়া যাওয়া যাবে তার তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ডে ছেয়ে ফেলা হয়েছে। তবে যে সব পর্যটক নিজের গাড়িতে এখানে আসেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হলেও সাধারণ পর্যটকদের এখানে এসে বিপাকে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। কলকাতার ধর্মতলা থেকে বাগনান এবং উলুবেড়িয়া হয়ে সিটিসি-jবাস গাদিয়াড়ায় চলাচল করে বটে, কিন্তু এখানে কোনও বাসস্ট্যান্ড না থাকায় বিকেলের পর আর কলকাতায় ফেরার বাস মেলে না। বিকেল হতে না হতেই শেষ বাস চলে যায়। ফলে যে সব পর্যটক বাসে গাদিয়াড়ায় এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেকে ফেরার পরিকল্পনা করেন, তাঁদের দুপুরের খাওয়া শেষ করেই ঘরমুখো হতে হয়। সিটিসি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যেহেতু বাসস্ট্যান্ড নেই তাই নিরাপত্তার কারণে রাত পর্যন্ত বাস চালানো যায় না। রাতে থেকে যেতে হলে চালক-কন্ডাক্টরের থাকার ব্যবস্থা নেই। গাদিয়াড়া থেকে বেসরকারি বাসও চলাচল করে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড না থাকায় একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও।

জেলা পরিষদের তরফে বহু বছর আগে বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর জন্য ৪১ শতক জমি বাছে তারা। ১০০ দিনের প্রকল্পে এই জমি মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা হয় জমি। ব্যস ওই পর্যন্তই। এর পর টাকার অভাবেই বাকি কাজ করা যায়নি বলে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর। শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় বিধায়ক কালীপদ মণ্ডলের আবেদনের ভিত্তিতে পরিবহণ দফতর কাজটি করতে রাজি হয়। শ্যামপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জিৎ বেরা বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের তরফে আমাদের প্রকল্প তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা প্রায় এক কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে পাঠিয়েছি।’’

Advertisement

কী আছে তাতে?

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও এখানে থাকবে বাসের চালক এবং কন্ডাক্টরদের থাকার জায়গা, দোকানঘর প্রভৃতি। কিন্তু জমি জটে ওই প্রকল্প আটকে গিয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। দফতরের এক কর্তা জানান, যে জমিতে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কথা সেটি পূর্ত (সড়ক) দফতরের। তাদের কাছ থেকে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) প্রয়োজন। তা এখনও হাতে আসেনি। শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরের কাছে সব রকম কাগজপত্র দিয়ে আমরা এনওসির জন্য আবেদন জানিয়েছি। এখনও তা পাওয়া যায়নি। তবে নিয়মিত এর জন্য তদ্বির করছি।’’ অন্য দিকে রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতর সূত্রে খবর, এনওসি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন