ভোল বদলে নয়া দৌড়ে ‘আশীর্বাদ’

গ্রামীণ হাওড়ায় অবশ্য কোনও বন্ধ সিনেমা হল নতুন করে খোলার নজির এই প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে ভোল বদলে নতুন করে খুলেছে বাগনানেরই ‘সুজাতা’, ‘শিবানী’ও। গত বছর খুলেছে উদয়নারায়ণপুরের ‘আনন্দময়ী’। এ বার ‘আশীর্বাদ’।

Advertisement

নুরুল আবসার

বাগনান শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০২:১০
Share:

নতুন: পুরনো হলেই শুরু হয়েছে নতুন করে সিনেমা প্রদর্শন। নিজস্ব চিত্র

ধীরে হলেও তালিকাটা বাড়ছে। চেহারা পাল্টে এ বার নতুন দৌড় শুরু করল ‘আশীর্বাদ’ও।

Advertisement

মাল্টিপ্লেক্সের দাপট এবং দর্শকাভাবে গত কয়েক বছরে রাজ্যের বহু ‘সিঙ্গল স্ক্রিন’ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে দশ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাগনানের দেউলটির ওই সিনেমা হলটিও। শুক্রবার থেকে হলটি নতুন করে পথচলা শুরু করল। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে বসেছে ডিজিটাল ডলবি সাউন্ড, উন্নত মানের প্রজেক্টর এবং এসি। দিনে চারটি করে শো। কর্তৃপক্ষের দাবি, ভালই দর্শক হচ্ছে।

গ্রামীণ হাওড়ায় অবশ্য কোনও বন্ধ সিনেমা হল নতুন করে খোলার নজির এই প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে ভোল বদলে নতুন করে খুলেছে বাগনানেরই ‘সুজাতা’, ‘শিবানী’ও। গত বছর খুলেছে উদয়নারায়ণপুরের ‘আনন্দময়ী’। এ বার ‘আশীর্বাদ’।

Advertisement

নতুন এই খবরে খুশি ‘ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইস্টার্ন মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (ইমপা)-র প্রদর্শক শাখার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ সেন। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার রাজ্যের বন্ধ সিঙ্গল স্ক্রিন হলগুলি খোলার উদ্যোগের কথা বলছেন। সেই বার্তা আমরা পৌঁছে দিচ্ছি হল-মালিকদের কাছে। য়াতে ছোট পরিসরেও নতুন করে সাজিয়ে হলগুলি খোলা হয়। সেই প্রচেষ্টারই ফসল হল আশীর্বাদ, আনন্দময়ী।’’

একই সঙ্গে তাঁর দাবি, গত এক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত আটটি বন্ধ সিনেমা হল ফের খোলা হয়েছে। আরও অনেক বন্ধ সিনেমা হলের মালিক হল খুলতে উদ্যোগী হয়েছেন।

‘আশীর্বাদ’ চালু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। তখন আসন ছিল ১১০০। বন্ধ হয় ২০০৮ সালের অগস্টে। কিন্তু এখন আসন কমে হয়েছে ৩০০। একটি অংশকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। বাংলা ছবি ‘পিয়া রে’ দিয়ে শুরু হয়েছে এই হলের নতুন পথচলা। হল মালিক সুশান্ত মারিক বলেন, ‘‘আগেকার মত হাজার বা তার বেশি আসনের সিনেমা হল আর চলবে না। তাই আসন সংখ্যা কমিয়েছি। টিকিটের দাম বেড়েছে। দর্শকদের স্বাচ্ছন্দ্যও বাড়ানো হয়েছে।’’

ইম্পা কর্তাদের দাবি, বন্ধ হলগুলি যেমন খুলছে, তেমনই আবার সিঙ্গল স্ক্রিন হলগুলিও মাল্টিপ্লেক্সে পরিণত হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফেও বন্ধ সিনেমাহলগুলির পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অবশ্য সুভাষবাবু স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, বন্ধ সিনেমা হলগুলি খোলার সঙ্গে বাংলা ছবির পরিচালক, প্রযোজকদের দায়িত্বও বাড়ছে।

তিনি বলেন, ‘‘হল মালিকেরা যেমন ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসছেন, তেমনই ভাল সিনেমাও তৈরি করতে হবে। শুধু সিনেমা হলের অঙ্গসজ্জা দিয়ে দর্শক টানা যাবে না। ভাল সিনেমা তৈরি না হলে ফের সিনেমা হলগুলিতে ঝাঁপ পড়বে।’’

ভাল ছবির দাবি তুলেছেন ‘আশীর্বাদ’ মালিকও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন