বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরেই রবিবার সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। তাঁরা পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণবাঁধ এলাকার বাসিন্দা। এলাকাটি ৩১ নম্বর বুথের অধীন। পাঁচলার তৃণমূল প্রার্থী গুলশন মল্লিক প্রায় ৩২ হাজার ভোটে ফরওয়ার্ড ব্লকের ডলি রায়কে হারিয়েছেন। তবু এর মধ্যেও ৩১ নম্বর বুথে বামপ্রার্থী ৩০০ ভোটে এগিয়েছিলেন। কিন্তু বামেদের সেই দাপট দীর্ঘস্থায়ী হল না। দলবদলকারীদের মধ্যে রয়েছেন গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মাধব পাখিরা। মূলত যাঁর নেতৃত্বে এই দলবদল, সেই সিপিএম নেতা পশুপতি পাখিরা বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে সামিল হওয়ার জন্যই সিপিএম ছাড়লাম।’’
এদিন পাশের পঞ্চায়েত পোলগুস্তিয়াতেও সিপিএম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য মিঠু হাইত তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পাঁচলার সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক গুলশন মল্লিকের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। অন্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সরিফুল ইসলাম, গৌতম বেরা প্রমুখ।
দেহ উদ্ধার। রাস্তার ধার থেকে পিছমোড়া করে হাত বাধা অবস্থায় এক যুবকের বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পান্ডুয়ার বোসো এলাকায়। রাত পর্যন্ত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের ধারণা, শ্বাসরোধ করে ওই যুবককে খুন করে দেহ ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।