সংগঠনের এক কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত শ্রীরামপুর কলেজের টিএমসিপি নেতা সঞ্জিত রামের জেল হাজত হল।
মঙ্গলবার রাতে মোটরবাইক নিয়ে বাড়িতে ঢোকার সময় শ্রীরামপুরের রাজমোহন গোস্বামী স্ট্রিটের বাসিন্দা কৌশিক দাস নামে এক টিএমসিপি কর্মীকে সঞ্জিত বাঁশ দিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পরের দিন প্রহৃতের বাবা থানায় সঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে ওই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ তিনটি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
শ্রীরামপুর কলেজের বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সঞ্জিত গত বার ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, কলেজ ভোটে দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে সমর্থন করার বদলা নিতেই এক সাগরেদকে নিয়ে কৌশিকের উপর চড়াও হন সঞ্জিত।
বৃহস্পতিবার আহত যুবককে দেখতে যান গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা টিএমসিপি আহ্বায়ক রিঙ্কু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাথায় হেলমেট না থাকলে কৌশিক মরে যেতে পারত। গোটা বিষয় সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তকে জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও সব জানেন।’’
আদালতে হাজির করানোর সময় সঞ্জিত দাবি করেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। দল আমার পাশে আছে।’’ তবে এ দিন থানা বা আদালত চত্বরে তৃণমূলের কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। তবে সঞ্জিত-ঘনিষ্ঠ জনা পনেরো ছাত্রছাত্রী থানার সামনে টিএমসিপি-র পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান। আদালতেও যান তাঁরা। এ দিকে দলের ছাত্রনেতাদের একাংশের কাজকর্মে তৃণমূল নেতৃত্ব বিরক্ত। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেউ অন্যায় করলে বা আইন নিজের হাতে তুলে নিলে দল তাকে সমর্থন করবে না।’’