গুপ্তিপাড়ার রথে বাড়তি নজর যাত্রী পারাপারে

রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর দফতরে বৈঠক হয়। প্রসেনজিৎবাবু ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রিয়াঙ্কা সিংলা, বলাগড়ের বিডিও মোদাশ্বর মোল্লা, শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুপ্তিপাড়া শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০১:৪৭
Share:

আগামী রবিবার রথযাত্রা। নদিয়ার বিভিন্ন ঘাট পেরিয়ে বহু মানুষ গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় আসবেন। সেই উপলক্ষে ঘাটগুলিতে যাত্রী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চাইছে প্রশাসন। মঙ্গলবার এ নিয়ে নদিয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হুগলির প্রশাসনিক আধিকারিকদের সমন্বয় বৈঠক হল।

Advertisement

রানাঘাটের মহকুমাশাসক প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর দফতরে বৈঠক হয়। প্রসেনজিৎবাবু ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রিয়াঙ্কা সিংলা, বলাগড়ের বিডিও মোদাশ্বর মোল্লা, শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে প্রমুখ। প্রশাসন সূত্রের খবর, সোজারথ, ভাণ্ডারলুঠ এবং উল্টোরথের দিন অসংখ্য মানুষ নদিয়ার দিক থেকে গঙ্গা পেরিয়ে গুপ্তিপাড়ায় আসেন। গুপ্তিপাড়া-শান্তিপুর, শক্তিপুর-মোতিগঞ্জ, ফুলতলা-তারাপুর ঘাটে পারাপার চলে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই তিন দিন গুপ্তিপাড়া-শান্তিপুর ঘাটে ভুটভুটি চালানো হবে না। যাত্রী পারাপার করা হবে ভেসেলে। এমনিতে ওই ঘাটে গাড়ি পারাপারের জন্য একটি ভেসেল রয়েছে। রথের সময় ওই ঘাটে আরও দু’টি ভেসেল দেওয়ার জন্য সম্প্রতি হুগলির সাংসদ রত্না দে নাগ রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারিকে চিঠি দেন। সেই মতো পরিবহণ দফতরের তরফে দু’টি ভেসেল দেওয়া হচ্ছে। ফলে ওই তিন দিন তিনটি ভেসেল চলবে। একটি ভেসেলে একশো যাত্রী উঠতে পারবেন। বাকী ঘাট দু’টিতে ভুটভুটিই চলবে। প্রতিটি ঘাটেই যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরা বাধ্যতামূলক করা হবে।

সম্প্রতি ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় জেটি দুর্ঘটনার পরে যাত্রীদের জ‌ন্য লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু অনেক জায়গাতেই যাত্রীরা ওই জ্যাকেট পরতে চাইছেন না বলে অভিযোগ। বলাগড় ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যাত্রী সুরক্ষার কারণেই ঠিক করা হয়েছে যে, লাইফ জ্যাকেট না পরলে পারাপার করা হবে না।’’ প্রশাস‌ন সূত্রের খবর, দু’দিকেই ঘাটে সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছ্বাসেবকরা থাকবেন। নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

Advertisement

বিডিও (বলাগড়) বলেন, ‘‘গত বছর গুপ্তিপাড়া ঘাটে একটি ঘটনার পরে যাত্রী স্বাচ্ছ্বন্দ্যে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। রথের দিনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছ্বন্দ্যের দিকে প্রশাসনের আরও বেশি নজর থাকবে। গোটা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাটো করা হবে। পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ফাঁক আমরা রাখতে চাই না। আশা করব যাত্রীরাও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন।’’

এ দিন বিকেলে হুগলির পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন গুপ্তিপাড়ায় গিয়ে রথের দিনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। বৃন্দাবনচন্দ্র মঠ, রথ সড়ক, মাসির বাড়ি— সব জায়গাই ঘুরে দেখেন তিনি। জেলা পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে যাবতীয় ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন