— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বছরের শেষ দিনেও ঘন কুয়াশায় ঢাকল দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপজ্জনক ভাবে কমে গেল দৃশ্যমানতা। বুধবার ভোরে কুয়াশার কারণে একাধিক উড়ান বাতিল হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বদলানো হয়েছে অন্তত শ’খানেক উড়ানের সময়সূচি। ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও।
ধোঁয়াশার কারণে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার দৃশ্যমানতা বিপজ্জনক ভাবে কমে গিয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লি বিমানবন্দরে অন্তত ১১৮টি উড়ান বাতিল করা হয়েছিল, বিলম্বিত হয়েছিল ১৩০টি পরিষেবা। বুধবারও ভোর ৪টে থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে গিয়েছে। যার জেরে একাধিক উড়ানের সময়সূচি বদলানো হয়েছে। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট-সহ বিভিন্ন উড়ান সংস্থা যাত্রীদের জন্য আগেভাগেই সতর্কবার্তা জারি করেছে। যাত্রীদের আগে থেকে পরিকল্পনা করা এবং বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে রাখতে বলা হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফেও জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।
সকাল পর্যন্ত দিল্লির আনন্দ বিহার, অক্ষরধাম, রফি আহমেদ কিদওয়াই মার্গ-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশার খবর পাওয়া গিয়েছে। ব্যাহত হয়েছে সড়ক ও রেল পরিষেবাও। বহু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলছে। যার জেরে বছরের শেষ দিনে বিভিন্ন স্টেশনে বেড়েছে অপেক্ষমাণ পর্যটকদের ভিড়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে কুয়াশার জন্য হলুদ সতর্কতাও জারি থাকবে।
বছরের শেষ দিনে রাজধানীর কোথাও কোথাও বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। একিউআই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে ‘ভাল’, ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ ধরা হয়। বুধবার সকাল ৮টায় দিল্লিতে বাতাসের গড় গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) রেকর্ড হয়েছে ৩৮৪, যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে।