দুর্ঘটনাগ্রস্ত: দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলা চিকিৎসকের। জখম হয়েছেন তাঁর স্বামী। মঙ্গলবার বিকেলে চণ্ডীতলার দশঘড়ার এই দুর্ঘটনায় মৃতার নাম অমৃতা ঘোষ চৌধুরী (৩২)। বাড়ি ব্যান্ডেলের কৈলাসনগরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অমৃতাদেবী আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি স্বামী শুভব্রত চৌধুরীর সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে চেপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। শুভব্রতবাবু গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অমৃতাদেবী তাঁর পাশের আসনে বসেছিলেন। দশঘড়ায় বালিবোঝাই একটি ট্রাক রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। শুভব্রতবাবুর গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকা ওই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের অভিঘাতে অমৃতাদেবী কার্যত পিষে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। জখম শুভব্রতবাবুকে ডানকুনির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, শুভব্রতবাবু বা অমৃতাদেবী কেউই সিটবেল্ট বাঁধেননি। তা হলে হয়তো মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো যেত।
পুলিশ যাই বলুক, এই দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাস্তার ধারে ট্রাক দাঁড়ানোর কথা নয়। বিকল ট্রাকটিকে সরিয়ে নিয়ে গেলে এমন হতো না। তার উপর গাড়িটি আবার ওভারলোডেড। পুলিশের উদাসীনতাতেই ট্রাকটি সেখানে দাঁড়িয়েছিল। এলাকাবাসীর বক্তব্য, একের পর এক দুর্ঘটনা এবং সমালোচনার জেরে ওই রাস্তায় গাড়ি দাঁড়ানো বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই নজরদারি শিথিল হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি যে কে সেই।
এ ব্যাপারে পুলিশের কাছেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। উল্টে রয়েছে দায় ঠেলাঠেলির পালা।
ওই সড়কের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গাড়ি সরানোর দায়িত্ব পুলিশের, আমাদের নয়।’’