প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর— অভিযোগ করলেন উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। শুক্রবার রাতে এক মহিলার মৃত্যুর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। শনিবার সকালে অভিযুক্ত চিকিৎসককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখানো হয়।
ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী লালু করের অভিযোগ, রাত ১টা শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁর স্ত্রীকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃণালকান্তি বৈদ্য হাসপাতালে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর কোয়ার্টারে। বার বার ডাকা হলেও তিনি আসেননি বলে অভিযোগ। রাত ২টো নাগাদ মৃত্যু হয় দুলালি করের (৪৮)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্সেরা ফোন করে পাননি ওই চিকিৎসককে। পরে ওয়ার্ড বয়কে ‘কল বুক’ দিয়ে তাঁকে ডাকতে পাঠানো হয়। তাতেও তিনি হাসপাতালে আসেননি। রোগিণীর পরিবার তাঁর কোয়ার্টারে গেলে তিনি ওষুধ লিখে দেন। মৃতার মেয়ে সুজাতা বলেন, ‘‘১০০ মিটার দূরে বসে রইলেন নিজের কোয়ার্টারে। তবু এলেন না। আমার মা মরে গেল ওঁর জন্য।’’
অভিযুক্ত চিকিৎসক অবশ্য এ দিন দাবি করেছেন, ‘‘পরিবারের লোক ডাকতে গেলে আমি আসব কেন? জরুরি বিভাগ থেকে কোনও ফোন আমি পাইনি।’’ কিন্তু দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কেন কোয়ার্টারে ছিলেন? সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন লালু। সিএমওএইচ ভবানী দাস বলেন, ‘‘সুপার তদন্ত রিপোর্ট দিলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’