ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
গভীর সমুদ্রে ক্যামেরা ফেলে দিয়েছিলেন ইউটিউবার তরুণ। সেই ক্যামেরাতেই ধরা পড়়ল জলের নীচের অত্যাশ্চর্য ‘জাদুকরি’ দুনিয়ার বিভিন্ন মুহূর্ত। ধরা পড়ল নাম না জানা বিভিন্ন জলজ প্রাণীও। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি বার্নি ডিলারস্টোন নামে পেশায় ইউটিউবার ওই তরুণ ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে সমুদ্রের তলদেশের অসাধারণ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। সমুদ্রের গভীরে একটি ক্যামেরা নামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পুরোটা ধরা পড়ে। সেই ভিডিয়ো সমুদ্রবিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষ— উভয়কেই অবাক করেছে। এমনকি, বার্নি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি সমুদ্রের নীচের ওই অচেনা দুনিয়া তাঁর ক্যামেরায় ও ভাবে ধরা পড়বে।
বার্নি প্রথমে তাঁর ক্যামেরাটি প্রায় ২০০ মিটার গভীরে রেখেছিলেন। সেই গভীরতায় বেশ কিছু প্রজাতির মাছের ভিডিয়ো ধারণ করে তাঁর ক্যামেরা। প্রক্রিয়াটি খুব সহজ ছিল না। কারণ সেই সব দৃশ্য রেকর্ড করতে পুরো দু’রাত লেগেছিল বার্নির। এই সময় তিনি গভীর সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির স্বাভাবিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। এর পর ইউটিউবার তরুণ ক্যামেরাটি আরও গভীরে পাঠালে নাম না জানা বিভিন্ন অদ্ভুত এবং অস্বাভাবিক প্রাণীর ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়। তার মধ্যে বেশ কিছু প্রাণী দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই কয়েকটি প্রাণীকে দেখলে মেরুদণ্ড দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাবে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে বার্নির ইউটিউব চ্যানেল থেকেই। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। আট লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে সেটি। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর সুন্দর!’’