Pit bull Tragedy

মর্মান্তিক পরিণতি দাদু এবং তিন মাসের নাতনির! একসঙ্গে ছিঁড়ে খেল বাড়িরই পোষা সাত পিটবুল, মৃত্যু দু’জনেরই

পুলিশ জানিয়েছে, পোষ্য পিটবুলগুলি আগে জেমসের উপর হামলা চালায়। পরিবারের এক সদস্য আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার পর দেখা যায়, বাড়ির মেঝেতে পড়ে রয়েছে জেমসের ক্ষতবিক্ষত দেহ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাড়ির ভিতরেই মর্মান্তিক পরিণতি দাদু এবং তিন মাস বয়সি নাতনির। পোষা সাত পিটবুলই একযোগে আক্রমণ করল দু’জনের উপর! ছিঁড়ে-কামড়ে শেষ করে ফেলল দু’জনকেই। সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার টেনেসিতে। ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে হইচই ফেলেছে সেই ঘটনা।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার বিকালে টেনেসির তুলহোমার বাসভবনে জেমস আলেকজ়ান্ডার স্মিথ নামে এক ব্যক্তি এবং এক শিশুর ছিন্নবিচ্ছিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেমসের পরিবারের পোষ্য সাতটি পিটবুলই এই অবস্থার জন্য দায়ী। কুকুরগুলি আগে থেকেই আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য কুখ্যাত ছিল। বুধবার হঠাৎই তারা দাদু-নাতনির উপর একসঙ্গে আক্রমণ চালায়। মৃত্যু হয় দু’জনেরই। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাতটি কুকুরকেই গুলি করে মারেন পুলিশ আধিকারিকেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, পোষ্য পিটবুলগুলি আগে জেমসের উপর হামলা চালায়। পরিবারের এক সদস্য আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার পর দেখা যায়, বাড়ির মেঝেতে পড়ে রয়েছে জেমসের ক্ষতবিক্ষত দেহ। এর পরেই কুকুরগুলিকে গুলি করেন পুলিশকর্মীরা। পিটবুলগুলিকে মেরে পুলিশ যখন জেমসের নাতনির কাছে পৌঁছোয়, তখন দেখা যায় কুকুরগুলির কামড়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুটিরও। নৃশংস সেই দৃশ্য দেখে চমকে যায় পুলিশও।

Advertisement

জেমসের প্রতিবেশী ব্রায়ান কিরবি জানিয়েছেন, মর্মান্তিক ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন জেমসের পরিবারের সব সদস্য ছিলেন না। এক মহিলা সদস্যকে চিৎকার করতে করতে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখেন তিনি। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর আগেও জেমসের পরিবারের পোষা পিটবুলগুলি অনেককে আক্রমণ করেছে বলে জানিয়েছেন ব্রায়ান। তাঁর কথায়, ‘‘পিটবুলগুলি মারাত্মক জেনেও যে কেন ওরা বেঁধে রাখেনি কে জানে! বেঁধে রাখলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না।’’

মর্মান্তিক সেই ঘটনার জন্য বিবৃতি জারি করেছে জেলা অ্যাটর্নির অফিসও। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই কঠিন সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করুন। ওঁদের যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে, তা যেন কোনও দিন কাউকে ভোগ করতে না হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement