বিকিকিনি: পান্ডুয়ায় মাছ ধরার জাল বিক্রি। নিজস্ব চিত্র
সশস্ত্র ডাকাতের দল পুজো দেওয়ার পরেই শুরু হতো জাহানাবাদের বারোয়ারি রক্ষাকালী পুজো। সেই জাহানাবাদের নাম বদলে আরামবাগ হয়েছে বহু বছর আগে। ডাকাতদের প্রকাশ্য পুজো দেওয়াও বন্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই পুজোর জৌলুষ কমেনি। এ বছরের পুজো ছিল শনিবার রাতে। সেই উপলক্ষে ভিড় ছিল জমজমাট।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রীতি অনুযায়ী প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের অমাবস্যায় এই পুজো হয়। আয়োজকেরা জানান, আরামবাগের নাম যখন জাহানাবাদ ছিল তখন একবার গোটা এলাকায় কলেরা হয়েছিল। সেই সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জাহানাবাদ মহাশ্মশানে এই পুজো শুরু করেছিলেন। সেই শ্মশানের জায়গায় তৈরি হয়েছে পুরনো বাজার। এখন সেখানেই পুজো হয়। ভিড় সামলাতে মন্দির লাগোয়া মিষ্টির দোকানগুলি থেকে কুপনের বিনিময়ে পুজোর প্রসাদ দেওয়া হয়।
এই কালীর দু’টি হাত, উচ্চতা ৬ ফুট। প্রথা অনুযায়ী, পুজোর আগে কালীপুরের বড়কালী এবং মালাকার পাড়ার শীতলাদেবীর পুজো করা হয়। পুরোহিত ঠিক হয় লটারির মাধ্যমে। মাটির কালীপ্রতিমাটি আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। পুজোর দিন সকালে কালো রং মাখিয়ে মূর্তির চোখ ফোটানো হয়। প্রতিমা ডাকের সাজে সজ্জিত। শেওড়াফুলির গঙ্গা থেকে জল এনে মন্দিরের চাতাল ধোওয়ার পরেই পুজো শুরু হয়।