অকুস্থল: দুর্ঘটনার পর আমতা-হাওড়া রোডে। নিজস্ব চিত্র
তিনটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় সোমবার দুই জেলায় জখম হলেন চার শিশু-সহ ৪৭ জন। এর মধ্যে শুধু হাওড়ার পাঁচলাতেই বাস ও লরির সংঘর্ষে জখন হন অন্তত ৪০ জন। সকলেই বাসযাত্রী। তাঁদের মধ্যে গুরুতর জখম ১৫ জনকে কলকাতা ও হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ বাসটি সাঁকরাইল থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে আমতা রওনা হয়। ৬টা নাগাদ পাঁচলার বেলতলা-সোনার কেল্লার কাছে আমতা-হাওড়া রোডে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি লরিটি ওই বাসে ধাক্কা মারে। জখমদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা এবং চারটি শিশুও রয়েছে। আহতদের প্রথমে গাববেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশের কর্তারা বাহিনী নিয়ে আসেন। আসে র্যাফও। পুলিশ জানায়, বাস ও লরিটিকে আটক করা হয়েছে। চালকেরা এবং কন্ডাক্টর, খালাসি পলাতক। টুটুল কোলে নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ‘‘বাসটি ঠিক ভাবেই যাচ্ছিল। আমতার দিক আসা লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের বাসের বাঁ দিকে ধাক্কা মারে। বাসটি ঘুরে গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরবাইক এবং ম্যাটাডরে ধাক্কা মারে।’’
বাকি দু’টি দুর্ঘটনা হুগলির। মুর্শিদাবাদ থেকে সকালে গাড়ি করে তারকেশ্বরে পুজো দিতে আসছিলেন ১৬ জন। তারকেশ্বরেরই বালিগোড়ির কাছে ছোট কালীতলায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এক পথচারীকে, তারপরে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। জখম হন আরোহী চার জন। আহতদের উদ্ধার করে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় পথচারীকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি আটক করা হয়েছে।
চালক পলাতক।
দুপুরে আবার ধনেখালির গোপীনগরে তারকেশ্বর-বর্ধমান রোডে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরবাইক আরোহী এক দম্পতি আহত হন। পুলিশ জানায়, তাঁদের বাড়ি বর্ধমানের জামালপুরে। দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁরা ধনেখালির দিক থেকে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পিছন দিক থেকে আসা ট্রাকটির ধাক্কায় তাঁরা বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। তাঁদের ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।