কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা

দিন দশেক আগে রাতের অন্ধকারে বোমা পড়েছিল ব্যান্ডেলের একটি দোকান এবং নির্মীয়মাণ আবাসনের সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:০৮
Share:

চিহ্ন: দরজার কাটারির কোপ। —নিজস্ব চিত্র।

দিন দশেক আগে রাতের অন্ধকারে বোমা পড়েছিল ব্যান্ডেলের একটি দোকান এবং নির্মীয়মাণ আবাসনের সামনে। এ বার শাসক দলের এক কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা হল চুঁচুড়া থানা এলাকারই ডানলপে। অভিযোগ, গণেশপুজোর জলসায় এক গায়িকার হাত ধরে টেনেছি‌ল এক দুষ্কৃতী। কাউন্সিরের স্বামী তার প্রতিবাদ করাতেই হামলা।

Advertisement

এত দিন দুষ্কৃতী তাণ্ডবের বিভিন্ন ঘটনায় নিরাপত্তার অভাবের যে অভিযোগ সাধারণ মানুষ তুলছিলেন, সেই সুর এ বার শোনা গেল সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের গলাতেই। পুলিশ ঘটনার কিনারা না করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বাঁশবাড়িয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই মহিলা কাউন্সিলর সারিকা সিংহ। কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারাও আতঙ্কিত।

কী ঘটেছিল ওই রাতে?

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গণেশ পুজো উপলক্ষ্যে শনিবার রাতে ডানলপ কারখানা চত্বরে জলসা হচ্ছিল। অভিযোগ, মঞ্চে উঠে এক গায়িকার হাত ধরে টানাটানি করে সুমন দাস ওরফে বিট্টু নামে এক দুষ্কৃতী। স্থানীয় কাউন্সিলর সারিকার স্বামী সাকিল আহমেদ তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। তখনকার মতো বিট্টু ফিরে যায়। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ সে দলবল জুটিয়ে ডানলপ আবাসনে ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

সারিকার অভিযোগ, ‘‘দরজা ধাক্কার আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি এক জন দরজায় কাটারির বাড়ি মারছে। স্বামীর নাম ধরে ডাকছে। আমি চিৎকার করায় ওরা গুলি অথবা বোমা ফাটায়। তার পরে বাইক নিয়ে পালায়। ওরা তিন জন ছিল। বিট্টু এবং গৌতম দে নামে আরও এক জনকে চিনতে পারি।’’ খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ তদন্তে আসে। সারিকা থানায় বিট্টু, গৌতমে বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি।

চন্দননগর কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানান, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। আশা করছি, অভিযুক্তরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

খোদ কাউন্সিলের বাড়িতে হামলা হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত। সারিকার কথায়, ‘‘আমার বাড়িতেই যদি হামলা হয়, তবে এলাকার যে মানুষ নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে না পারলে দরকারে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সব বলব।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বন্ধ ডানলপ কারখানার যন্ত্রপাতি চুরি করতে দুষ্কৃতীরা সক্রিয়। তারাই এলাকায় ‘দাদাগিরি’ করে বেরায়। শাসক দল তৃণমূলের বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের উপরে পুলিশের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।

পুলিশ সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত বছর বত্রিশের বিট্টুর বাড়ি চুঁচুড়ার কাঁসারিপাড়ায়। তার বিরুদ্ধে খুন, চুরি- ছিনতাই, অস্ত্র রাখা-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও সে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement