শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কার্তিক পুজোতেও মূর্তি থেকে মণ্ডপে চমক দিয়েছিল বাঁশবেড়িয়া। এ বার ভাসানের শোভাযাত্রায় নজর কাড়তে প্রস্তুতি চলছে সাহাগঞ্জ-বাঁশবেড়িয়া কেন্দ্রীয় কার্তিক পুজো কমিটির এলাকায়।
আজ, শনিবার ৩৪টি পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় যোগ দেবে। আলোকসজ্জা ও প্রতিমা নিয়ে মোট ১৭০টি ট্রাক থাকবে শোভাযাত্রায়। সন্ধ্যা ৬টায় একটি শোভাযাত্রা যাবে সাহাগঞ্জ থেকে বাঁশবেড়িয়ার দিকে। আর একটি বাঁশবেড়িয়া থেকে সাহাগঞ্জের দিকে যাবে। সাহাগঞ্জ থেকে বেরিয়ে ত্রিকোন পার্ক, ধোপাঘাট, যুব সঙ্ঘ মোড়, নারায়ণতলা মোড়, ঝুলুনিয়া মোড়, পঞ্চানন তলা হয়ে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার সামনে দিয়ে সাহাগঞ্জ ফিরে যাবে। প্রতিমা নিরঞ্জন হবে ত্রিবেণী বালিঘাট, বাঁশবেড়িয়া লাইব্রেরি ঘাট, কুণ্ডুঘাট, সাহাগঞ্জ-কেওটা কুলতলা ঘাটে।
বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রধান অরিজিতা শীল বলেন, ‘‘১৫০ জন ভলান্টিয়ার নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় নজরদারি করবেন। এ ছাড়াও দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। ১টি পঞ্চাননতলা, আর একটি বাঁশবেড়িয়া ফুটবল ময়দানে থাকবে। এ ছাড়া পুরএলাকায় ৬টি স্বাস্থ্য শিবির থাকবে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা থেকে বাঁশবেড়িয়ায় শোভাযাত্রার জন্য রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। ১৩টি পুলিশ ক্যাম্প থাকবে, তিনজন ডিএসপি পদস্থ অফিসার থাকবেন। এ ছাড়াও ১৫০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার সহ পুলিশকর্মীরা থাকবেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, গোঘাট: জাতীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ উদযাপন কর্মসূচির রাজ্য স্তরের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হল গোঘাটে। শুক্রবার কামারপুকুর সংলগ্ন শ্রীপুর মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তপন দাসগুপ্ত, অসীমা পাত্র, হুগলি জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান, সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব রাজেশকুমার সিনহা, রাজ্য অধিকর্তা আনন্দগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। টিকাকরণ, চিকিৎসা-সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজের নিরিখে বর্ধমান জেলা প্রথম বলে ঘোষিত হয়। কৃত্রিম প্রজননের ক্ষেত্রে উত্তর দিনাজপুর এবং ডিম উৎপাদনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রথম। প্রাণিসম্পদ বিকাশের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্ব-নিযুক্তির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি এ বার ২০ বছরে পড়ল। সারা দেশ জুড়ে ১৩ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত পালিত হচ্ছে জাতীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ।