কদম: রুটমার্চ চলছে। পুরশুড়ায়। ছবি: মোহন দাস
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস দমনে এখনও চলছে রুট মার্চ। অভিযোগ, তাতে তেমন বিশেষ লাভ হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিরোধী ও নির্দলদের উপর হামলার অভিযোগ আসছে।
পুরশুড়ায় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের (ইএফআর) জওয়ানদের রুট মার্চ চলছে। তারই মধ্যে রবিবার সকালে শ্যামপুর গ্রামের জয়ী নির্দল প্রার্থী শ্রাবন্তী মান্নার স্বামী বিশ্বনাথ মান্নাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ, তাঁর উপর বাঁশ, ছুরি নিয়ে হামলা চালায়ে তৃণমূলের মূল সংগঠনের কিছু সদস্য। তাঁকে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
নির্দিষ্টে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শেখ আইনুল ওরফে মুক্ত নামে তৃণমূলের মূল সংগঠনের এক নেতাকে গ্রেফতার করছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ কর্মী শ্রাবন্তী মান্না নির্দল হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই গ্রামে অশান্তি ছিল। অভিযোগ, মূল সংগঠনের পক্ষে হুমকি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে হবে শ্রাবন্তী ও বিশ্বনাথকে। বিশ্বনাথের অভিযোগ, “আমরা প্রচারে না যাওয়ায় ওরা হুমকি দিচ্ছিল। এ দিন সকালে মাঠে যাবার পথে রাস্তায় একা পেয়ে ছুরি এবং বাঁশ নিয়ে হামলা করল।”
তবে গ্রামের মূল সংগঠনের পক্ষে শেখ নাজিমের পাল্টা অভিযোগ, “শনিবার বিকালে মুক্ত ও আমাদের কয়েকজন সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি।’’
এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে চণ্ডীতলায়ও। অভিযোগ, এলাকার একটি বিজেপি পার্টি অফিসও ভাঙচুর করা হয়েছে। শনিবার রাতে চণ্ডীতলার কাপাসএড়িয়ার ঘটনা। বিজেপি নেতৃত্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিজেপির অভিযোগ রাতে এক দল দুষ্কৃতী তাদের প্রার্থী বিষ্ণুপ্রিয়া পালের বাড়িতে চড়াও হয়। এলাকায় থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযোগ, এর পরই এলাকার একটি পার্টি অফিসে দরজা ভেঙে দেওয়া হয়। বিষ্ণুপ্রিয়া বলেন, ‘‘সন্ত্রাস করে শাসকদল পঞ্চায়েত ভোটে জিতেছে। তার পর থেকে নানা ভাবে শাসানো হচ্ছ।’’ পুলিশের দাবি, অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।