বন্ধ শ্রীরামপুরের বিস্কুট কারখানা

প্রায় সাড়ে তিনশো শ্রমিক বেকায়দায় পড়লেন। মিলের আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কাবুল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের উৎপাদন চালানোর সদিচ্ছাই নেই। প্রচুর টাকা ঋণ বকেয়া পড়ে রয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩১
Share:

সমস্যা: বন্ধ হয়ে গেল এই কারখানাই। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ হয়ে গেল শ্রীরামপুরের সিমলার একটি বিস্কুট কারখানা। সোমবার থেকে এখানে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ ঘোষণা করা হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, পুঁজির অভাবেই এই সিদ্ধান্ত। এর জেরে প্রায় সাড়ে তিনশো শ্রমিক বেকায়দায় পড়লেন। মিলের আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কাবুল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের উৎপাদন চালানোর সদিচ্ছাই নেই। প্রচুর টাকা ঋণ বকেয়া পড়ে রয়েছে।’’

Advertisement

দিল্লি রোডের ধারে ‘প্রিয়া ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড’ নামে ওই কারখানা চালু হয় বছর তিনেক আগে। কারখানা সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই আর্থিক সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। কয়েক মাস আগে ছাঁটাইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তখন ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ ঘোষণা করা হয়। শেষে অবশ্য ছাঁটাই না করে ছ’দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিন কাজ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহল মনে করছেন, এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন।

কারখানার প্রশাসনিক ম্যানেজারের সই করা ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর চিঠিতে লেখা হয়েছে, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে কারখানা চালানো যাচ্ছে না। বাজারে প্রতিযোগিতার কারণে লোকসান হচ্ছে। তার উপরে ব্যাঙ্কের অসহযোগিতায় আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। শ্রম দফতর সূত্রের বক্তব্য, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

স্থানীয় রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মোহন মণ্ডল বলেন, ‘‘কাঁচামালের অভাবের কথা বলে মাঝেমধ্যেই কারখানায় লে’অফ ঘোষণা করা হত। এখন তো বন্ধই করে দিল। পরিস্থিতির জন্য মালিকপক্ষই দায়ী। ঋণ শোধের জন্য ব্যাঙ্ক ওদের তাগাদা দিচ্ছিল।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘স্থানীয় বেকার ছেলেরা এখানে কাজ পেয়েছিলেন। তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। বুধবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসব। সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন