Municipal Corporation

নৌকা-বিহারের উদ্যোগ লালদিঘিতে

দু’টি কাজই দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুরসভার তরফে।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫৪
Share:

এ ভাবে সাজিয়ে তোলা হবে লালদিঘিকে। —নিজস্ব চিত্র

বেশ কয়েক মাস আগে চন্দননগরের ফরাসি আমলের লালদিঘিকে প্রায় দেড় কোটি টাকায় নতুন কলেবরে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয় পুরসভা। এ বার সেখানে নৌকা-বিহারের ব্যবস্থা এবং লাগোয়া বস্তি গাছগাছালিতে ঘেরার (গ্রিন ফেনসিং) সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এতে লালদিঘির সৌন্দর্য আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।

Advertisement

দু’টি কাজই দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুরসভার তরফে। পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘লালদিঘির পাড়ের বস্তিগুলিতে নিকাশি ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট এবং বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার। একই সঙ্গে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লালদিঘির পাড়কে নতুন চেহারা দিতে ‘গ্রিন ফেনসিং’ গড়ে তোলা হবে। লালদিঘিতে নৌক-বিহারেরও ব্যবস্থা হবে।’’

লালদিঘির হতশ্রী চেহারা নিয়ে আগে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছিল পুরসভা। তারপরেই লালদিঘিকে সাজাতে উদ্যোগী হন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাড়ের দু’টি বস্তি নিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। কারণ, ওই বস্তিগুলির চেহারা পুরোপুরি না-ফেরালে লালদিঘির সৌন্দর্যায়ন ধাক্কা খাবে বলে মনে করেন তাঁরা। তার জেরেই নতুন উদ্যোগ।

Advertisement

শহরের কিছু সংস্থাও ওই বস্তি এলাকাকে পরিকল্পনামাফিক গড়ে তোলার দাবি তুলেছিলেন। বস্তিবাসীদের বেশিরভাগই পুরসভার সাফাইকর্মী। দীর্ঘদিন তাঁরা সেখানে বসবাস করছেন। ‘চন্দননগর পরিবেশ অ্যাকাডেমি’র কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বস্তিবাসীদের জন্য বাসযোগ্য ভদ্রস্থ বাসস্থান তৈরী করা অত্যন্ত জরুরি। এই করোনাকালে তাঁরাই ঝুঁকি নিয়ে পুর এলাকা সাফাই করছেন প্রতিদিন। আর তাঁরাই নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন