আতঙ্কিত ব্যান্ডেলের ব্যবসায়ীরা

বন্ধ দোকান, আবাসনে  বোমাবাজি

মাঝরাতে বন্ধ দোকানের সামনে বোমাবাজি। একই কাণ্ড পাশের নির্মীয়মাণ আবাসনেও। শনিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে ব্যান্ডেলে জিটি রোড লাগোয়া গ্রিনপার্ক এবং নেতাজিপার্কে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

দাগ: বোমার দাগ স্পষ্ট দোকান ঘরের শাটারে। নিজস্ব চিত্র

মাঝরাতে বন্ধ দোকানের সামনে বোমাবাজি। একই কাণ্ড পাশের নির্মীয়মাণ আবাসনেও। শনিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে ব্যান্ডেলে জিটি রোড লাগোয়া গ্রিনপার্ক এবং নেতাজিপার্কে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, পুজোর মুখে ত্রাস সৃষ্টি করতে তোলাবাজরাই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ অবশ্য ধরা পড়েনি।

Advertisement

ব্যান্ডেল কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দীননাথ যাদবের ক্ষোভ, ‘‘বার বার এমন ঘটনা ঘটলে ব্যবসা বন্ধ করে অন্যত্র চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা থাকবে না।’’ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার অবশ্য বলেন, ‘‘থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হবে।’’ বিভিন্ন মার্কেট চত্ত্বরে নজরদারি বাড়ানোর আশ্বাসও দেন সিপি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রিনপার্কে একটি রঙের দোকানের সামনে দু’টি বোমা পড়ে। ধোঁয়ায় চারপাশ ঢেকে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় নেতাজি পার্কে একটি নির্মীয়মাণ আবাসনের সামনেও বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। বোমায় কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। ক্ষিপ্ত মানুষজন বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ আসে।

Advertisement

রঙের দোকানের মালিক পলাশ ঘোষ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে কারও ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে কয়েক দিন আগে এক জন ফোন করে টাকা দাবি করেছিল। মনে হচ্ছে যাতে তোলা দিয়ে দিই, সে জন্যই মনে ভয় ধরাতে দোকানের সামনে বোমাবাজি করা হয়েছে।’’ আবাসনের ম্যানেজার কুন্দন সিংহ বলেন, ‘‘সবাই শুয়ে পড়েছিলাম। বোমার আওয়াজ পেয়েই বেরিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু ধোঁয়ার মধ্যে কাউকে দেখা যায়নি।’’

ঘটনার জেরে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে। দীননাথবাবু জানান, গত বছর রাতের অন্ধকারে একই কায়দায় তাঁর দোকানের সামনে বোমা মেরেছিল দুষ্কৃতীরা। গত বছর নভেম্বর মাসে একটি পোশাকের দোকানে বোমাবাজি হয়। এর কিছু দিন পরে একই এলাকার একটি দোকানে দেওয়াল কেটে চুরি করে দুষ্কৃতীরা। তার পরে বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালায়।

ব্যান্ডেল এলাকায় দুষ্কৃতীরাজ এবং ব্যবসায়ীদের উপর হামলা বন্ধের দাবিতে বছর খানেক আগে ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাতে নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ। কয়েক জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হয়নি বলে ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, সাহাগঞ্জে বন্ধ ডানলপ কারখানার যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তারাই চুরি-ছিনতাই বা বোমাবাজির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন