ধর্ষণে বাধা, বধূকে মারধর ধনেখালিতে

শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরোতেই রাতের অন্ধকারে এক বধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় ওই বধূকে বেধড়ক মারধর করে মাঠের মধ্যে ফেলে পালাল তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধনেখালি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৫ ০১:০৫
Share:

শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরোতেই রাতের অন্ধকারে এক বধূকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। বাধা দেওয়ায় ওই বধূকে বেধড়ক মারধর করে মাঠের মধ্যে ফেলে পালাল তারা।

Advertisement

শনিবার রাতে ধনেখালির কামালপুর এলাকার একটি মাঠ থেকে বছর তিরিশের ওই বধূকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা। তিনি কথা বলার অবস্থায় নেই। তাঁর মাথা ফেটেছে। দু’চোখের নীচে কেটে গিয়েছে।

বধূর স্বামী ধনেখালি থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। তবে, ঘটনাস্থল থেকে বধূর টর্চটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। হুগলির পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার অবস্থা একটু ভাল হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনেখালির সমসপুর-২ পঞ্চায়েতের কামালপুর গ্রামে শনিবার রাতে কালীপুজো ছিল। বেশির ভাগ গ্রামবাসী সেখানেই গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ওই বধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনও। কিন্তু বছর দুয়েকের শিশুপুত্র কান্নাকাটি করায় তাকে নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ ওই বধূ একাই বাড়ি ফিরে আসেন। ছেলেকে ঘরে রেখে তিনি পাশেই শৌচাগারে যাওয়ার জন্য বেরোতেই জনা চারেক যুবক তাঁকে তুলে কাছের একটি বাগানে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে ওই যুবকেরা বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বধূ বাধা দেওয়ায় যুবকেরা তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মারে এবং তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে তুলে পাশের একটি মাঠে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বধূর স্বামী বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। পুজো মণ্ডপে গিয়ে গ্রামবাসীদের খবর দেন। শেষমেশ সকলে মিলে ওই মাঠ থেকে বধূকে উদ্ধার করে প্রথমে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।

বধূর স্বামী বলেন, “কারা এ কাজ করল কিছুই বুঝতে পারছি না। স্ত্রী হাসপাতালে ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে, জনা চারেক যুবক ছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েছে তারা। আমরা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন