টুকরো খবর

মা-বাবা বৃদ্ধ হলে সম্পত্তির লোভে তাঁদের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা সমাজের সাধারণ ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র পাল। হুগলির চণ্ডীতলা থানা এলাকার এক বৃদ্ধ রিকশাচালক এবং তাঁর স্ত্রীকে দুই ছেলে ও বউমারা বাড়ি থেকে গত বছর তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪৪
Share:

সম্পত্তির লোভে বাবা-মাকে অত্যাচার
সামাজিক ব্যাধি, মন্তব্য বিচারপতির

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

মা-বাবা বৃদ্ধ হলে সম্পত্তির লোভে তাঁদের উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা সমাজের সাধারণ ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র পাল। হুগলির চণ্ডীতলা থানা এলাকার এক বৃদ্ধ রিকশাচালক এবং তাঁর স্ত্রীকে দুই ছেলে ও বউমারা বাড়ি থেকে গত বছর তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। বিশ্বনাথ মালাকার নামে ওই বৃদ্ধের আরও অভিযোগ, ছেলে-বউমারা চেয়েছিলেন, তিনি তাঁদের নামে তাঁর সম্পত্তি লিখে দিন। তিনি তা না করায় তাঁকে ও স্ত্রীকে বাড়ি থেকে মারধর করে তাড়ানো হয়। বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন। দু’জনের স্বল্প রোজগার। এলাকার একজনের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে তাঁরা এখন রয়েছেন। ওই বৃদ্ধের আইনজীবী সুস্মিতা পাল জানান, চণ্ডীতলা থানায় ছেলেদের নামে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর মক্কেল। আইনজীবী জানান, বিচারপতি এ দিন পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৩ মার্চ বিকেল তিনটের মধ্যে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে সঠিক নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উদ্দেশে কুকথা বলা হলে বা শারীরিক নির্যাতন হলে পুলিশকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে পুনরায় বিচারপতি পালের আদালতে অভিযোগ জানাতে পারেন ওই দম্পতি।

Advertisement

যুবকের দেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা • মগরা

পাহারাদারদের পরিত্যক্ত ঘর থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালেমগরার ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুত্‌ কেন্দ্রের কর্মী আবাসনে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেল তাপবিদ্যুত্‌ কেন্দ্রের কর্মী আবাসনের ২ নম্বর গেটের কাছে পাহারদারদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে বছর তিরিশের এক যুবকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরনে প্যান্ট এবং জামা ছিল। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা পড়ছিল। পুলিশের অনুমান, কোনও কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে ওই যুবক। রাত পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

বধূকে খুনের অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ি ধৃত

অসুস্থ হয়ে পড়ায় এক বধূকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে খানাকুলের তাঁতিশাল গ্রামের বাসিন্দা কাকলি মালিক (৩২) নামে ওই বধূকে অসুস্থ অবস্থায় খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। ওই রাতেই তাঁর বাবা জলধর দাসের দায়ের করা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বধূর স্বামী অশোক এবং শাশুড়ি গায়ত্রী মালিককে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে খানাকুলেরই রাধাবল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা কাকলির বিয়ে হয় অশোকের সঙ্গে। কয়েক বছর ধরে অসুখে ভুগছিলেন কাকলি। এ জন্য তাঁর উপরে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে জলধরবাবু জানিয়েছেন, বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্যেও মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দিত। মঙ্গলবার সকালে জামাই ফোন করে তাঁকে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায়। বিকেলে গিয়ে তিনি দেখেন, মেয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলেও মেয়ে জানান। এর পরে শ্বাসকষ্ট বাড়ায় জলধরবাবুই স্থানীয় মানুষের সাহায্যে রাত ৭টা নাগাদ মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আর এক অভিযুক্ত, বধূর শ্বশুর রতন মালিক পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ধৃতদের আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

চায়ের দোকানে ট্রাক, মৃত ১

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মিনি ট্রাক রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে ঢুকে পড়লে তার ধাক্কায় এক পথচারির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চায়ের দোকানের খালাসি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার জামবেড়িয়ায়। মৃতের নাম সেখ ফইজুল (৪৫)। বাড়ি জামবেড়িয়াতেই। তিনি চেঙ্গাইলের একটি শ্রমিক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মু্ম্বই রোড ধরে হাওড়ার দিকে আসার সময়ে মিনি ট্রাকটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। চটকল থেকে কাজ সেরে ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলেন ফইজুল। ট্রাকটি তাঁকে ধাক্কা মেরে তারপরে দোকানে ঢুকে যায়। চায়ের দোকানের খালাসিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।


(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন